Misophonia

ফোন বাজার শব্দে হঠাৎই মাথায় কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছে, কোনও রোগে আক্রান্ত নন তো?

শব্দের তীব্রতা ৬০ ডেসিবেলের উপর গেলে তা সহ্যের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু নিত্য দিনের সাধারণ কিছু আওয়াজে যদি শারীরিক অস্বস্তি বেড়ে যায়, তা কোনও রোগের লক্ষণ হতেই পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ২০:১৩
Image of woman

— প্রতীকী চিত্র।

হেঁশেলে মিক্সির আওয়াজ, পাশের বাড়ি থেকে ড্রিল মেশিনের শব্দ, এমনকি নিজের ফোনের রিংটোন— হঠাৎ সব কিছুই অসহ্য লাগছে। আশপাশের পরিবেশ থেকে আসা নানা আওয়াজে এমন অস্বস্তি হওয়ার কথা নয়। জ্বর, মাইগ্রেন বা তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে এমন তীব্র আওয়াজে কষ্ট হতেই পারে। জ্বর হলে সামান্য ঘড়ির ঘণ্টা শুনেও কষ্ট হতে পারে। তবে সাধারণ অবস্থায় যদি কারও এমন সমস্যা হয়, তা কিন্তু ‘মিসোফোনিয়া’-র লক্ষণ হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ‘মিসোফোনিয়া’ আসলে এক ধরনের স্নায়ুর রোগ। যার সঙ্গে শরীর এবং মন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে। কে কখন এই রোগে আক্রান্ত হবেন, তা আগে থেকে কেউই বলতে পারেন না। হঠাৎই মাথায় অদ্ভুত রকম কষ্ট হতে থাকে। শ্রুতিমধুর কোনও আওয়াজই সহ্য করা যায় না। কারও সঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছে করে না সেই সময়ে।

Advertisement

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?

১) ‘কগনিটিভ-বিহেভিয়ারাল’ থেরাপি

এ বিষয়ে অভিজ্ঞরা রোগীর সঙ্গে কথা বলে এই ধরনের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলগুলি শিখিয়ে দেন। তবে এক দিনে এই কৌশল শিখে ফেলা সম্ভব নয়। নিয়মিত বেশ কিছু দিন থেরাপি চলার পর উন্নতির আশা করতে পারেন।

২) মনকে শান্ত করতে হবে

ধ্যান, শরীরচর্চা, প্রাণায়াম— এই ধরনের সমস্যা দূর করতে পারে। কোনও রকম উত্তেজনা, উদ্বেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

৩) ইয়ারপ্লাগের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে

পারিপার্শ্বিক আওয়াজে যদি মাথার কষ্ট বাড়ে, সে ক্ষেত্রে কানে হেডফোন বা ইয়ারপ্লাগ গুঁজে রাখতে পারেন।

আরও পড়ুন
Advertisement