প্রতীকী ছবি।
চিন্তাশক্তি বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন। এ তো বলেই থাকেন কতজনে। সেই মতো ছোটবেলা থেকে কত ধরনের খাবার খাওয়ানোও হয়ে থাকে শিশুদের। যেমন শাক-সব্জি বেশি করে খেতে বলা হয় বেড়ে ওঠার সময়ে, তেমনই দুধ বা অন্যান্য প্রোটিনযুক্ত খাবারের গুরুত্বও অনেক। তার সঙ্গে নিয়ম করে চাই মাছ-মাংস ও নানা ধরনের বাদাম। শুধু শৈশবেই এ সব খেতে হবে? মোটেও না। মস্তিষ্ক সচল রাখতে খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ ভাবে মন দিতে হবে সব বয়সেই। শুধু কী খাবেন, তা ভাবলেই চলবে না। সঙ্গে জেনে নিতে হবে কোন খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
মস্তিষ্ক ভাল ভাবে যাতে কাজ করে, তার জন্য তিন ধরনের খাদ্য সব বয়সের মানুষেরই কিছুটা এড়িয়ে চলা ভাল। একেবারে বন্ধ না করে দিলেও, মাপ বুঝেই তা খাওয়া দরকার।
১) সসেজ, সলামির মতো প্রসেসড মাংস খাওয়ার চল এখানেও আজকাল যথেষ্ট বেড়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এই ধরনের খাবারে থাকে এন-নাইট্রোসো কম্পাউন্ড। যা মস্তিষ্কে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে এ ধরনের মাংস কম খাওয়াই ভাল। আর সঙ্গে খেয়াল করে যথেষ্ট পরিমাণ শাক-সব্জি-ফল খেতে হবে। যাতে ভিটামিন এ-র মাত্রা বেশি থাকে।
২) ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় ধরা পড়ে, দিনের পর দিন অতিরিক্ত চিনি খেলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপরে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে তা অ্যালঝাইমার্স ডিজিজেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। ফলে রোজ রোজ কেক-পেস্ট্রি খাওয়ার আগে সে কথা খেয়াল রাখা জরুরি।
৩) অতিরিক্ত মদ্যপান যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তা কারও অজানা নয়। লিভারের অসুখ থেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার কথা উঠেই থাকে এই অভ্যাস প্রসঙ্গে। ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও যে বাড়ে, তাও জানেন অনেকে। কিন্তু মদে উপস্থিত ইথানল যে সরাসরি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে, তা ভুলে গেলে চলবে না। এর থেকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা হতে পারে। কমতে পারে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা।