ভিগান খাবার খেলে কি ওজন কমে? ছবি- সংগৃহীত
ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ভিগান’ খাদ্যাভ্যাস। স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ— উভয়ের জন্যই এই খাদ্যাভ্যাস ভাল, এমন দাবি করা হচ্ছে নানা মহলেই। মাংস তো বটেই, ডিম বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারই এই খাদ্যাভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত নয়। ভিগানিজম একটি স্বতন্ত্র জীবনশৈলী। শুধু খাদ্য নয়, প্রাণী ও প্রাণীদেহ-জাত সব পণ্যই বর্জন করা হয় এই জীবনধারায়। নিরামিষাশীরা যখন প্রাণী-জাত সমস্ত খাবার ও পণ্য বর্জন করেন, তখন তাঁদের 'ভিগান' বলে। কয়েক দশক আগে থেকে ভিগানিজমের প্রচলন শুরু হলেও ২০১০ সালে জাতিসংঘের রিপোর্টে ভিগানিজমের কথা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বের বহু প্রান্তে ক্রমেই জনপ্রিয় হতে থাকে এই জীবনশৈলী। হালফিলে ভারতেও বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই জীবনধারা। অনেকেই আবার ভিগান খাদ্যাভাস নিয়ে নানা ভুল ধারণা পোষণ করেন। আপনিও যদি ভিগান খাদ্যাভাস মেনে চলতে চান, তা হলে এই সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলি থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই ভুল ধারণাগুলি ঠিক কী, রইল তার হদিস।
১) ওজন কমে: যদি ওজন ঝরানোর জন্য ভিগান ডায়েট মেনে চলতে চান, তাহলে জেনে রাখা ভাল এই খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে কিন্তু ওজন ঝরানোর সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। বেশি করে শাক-সব্জি খেলে আর প্রক্রিয়াজাত মাংসের না খেলে এমনিতে ওজন ঝরে বটে, কিন্তু ভিগান ডায়েটেও ভুল খাবার বাছাই করলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। ভিগান খাবার মানেই স্বাস্থ্যকর-- এই ধারণা ভুল।
২) শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়: অনেকের ধারণা মাছ-মাংস-ডিম-দুধই প্রোটিনের সেরা উৎস। উদ্ভিজ প্রোটিনও সঠিক মাত্রায় খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয় না! এ ক্ষেত্রে রোজকার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত মাত্রায় ডাল, বাদাম, সয়াবিন রাখা যেতে পারে।
৩) শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে: সঠিক নিয়ম মেনে পুষ্টিবিদের পরামর্শে আপনি যদি ভিগান খাদ্যভাস মেনে চলেন, তা হলে কিন্তু শরীরে শক্তির ঘাটতি হবে না। শরীরে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য কাবলি ছোলা, পালং শাক, কুমড়োর বীজ ডায়েটে রাখতে হবে। বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেলে শরীরে আয়রনের শোষণ ভাল হবে। তাতেই শরীরে পর্যাপ্ত শক্তির জোগান হবে।
৪) শরীরে ওমেগা-৩ এর ঘাটতি: অনেকেই মনে করেন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস কেবল মাছ ও মাছের তেলযুক্ত সাপ্লিমেন্ট! তাই ভিগান ডায়েট মেনে চললে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে জরুরি ওমেগা-৩-এর ঘাটতি হয়। তবে এই ধারণা ভুল। চিয়া বীজ ও ফ্লাক্স বীজেও ভাল মাত্রায় ওমেগা ৩ থাকে।