সুস্থ ভাবে বাঁচতে বাদ দেবেন কোন কোন খাবার? ছবি: সংগৃহীত
বেশির ভাগ মানুষই দীর্ঘায়ু পেতে চান। কিন্তু শুধু দীর্ঘায়ু পেলেই হবে না, দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বাঁচাটাও জরুরি।
দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য কোন কোন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, জীবনধারায় কোন কোন বদল আনা দরকার— তা অনেকেই জানেন। কিন্তু সুস্থ দীর্ঘায়ুর জন্য কোন কোন খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে, তা জানা আছে কি?
হালের বেশ কিছু গবেষণা এমন কথা জানিয়েছে, কোন কোন খাবার খেলে আয়ু কমে যেতে পারে। সুস্থ ভাবে বাঁচতে এড়িয়ে চলতে হবে এগুলি। দেখে নেওয়া যাক, কী কী রয়েছে এই তালিকায়।
অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়: ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া বেশ কয়েকটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, যাঁরা সপ্তাহে ১৪ পেগ মদ্যপান করেন, তাঁদের ছ’মাস পর্যন্ত আয়ু কমে যেতে পারে। যাঁরা সপ্তাহে ১৪ থেকে ২৫ পেগ পর্যন্ত মদ্যপান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ু কমে যেতে পারে এক থেকে দু’বছর। আর যাঁরা সপ্তাহে ২৫ পেগের বেশি মদ্যপান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আয়ু পাঁচ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে। প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।
প্যাকেটে বিক্রি হওয়া তৈরি খাবার: আলেকালে বার্গার, পিৎজা বা প্যাকেটে বিক্রি হওয়া রান্না করা মাংসের নানা পদ খেলে খুব ক্ষতি হয় না। কিন্তু নিয়মিত খেলেই ক্ষতি হয়। পরিসংখ্যান বলছেন, এই ধরনের খাবার বা ‘প্রসেসড ফুড’ যাঁরা নিয়মিত খান, তাঁদের মধ্যে যে কোনও ধরনের ক্যানসারের আশঙ্কা ১২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে স্তনের ক্যানসারের ঝুঁকি।
অতিরিক্ত চিনি: কোনও পুষ্টিগুণ নেই। কিন্তু চিনি ক্যালোরিতে ভরপুর। পুষ্টিগুণহীন এই ক্যালোরিই নানা রকম রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্যানসার থেকে শুরু করে ডায়াবিটিস বা কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো নানা জটিল অসুখ দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত চিনির কারণেই। আর তার ফলেই কমতে পারে আয়ু।
অতিরিক্ত ভাজাভুজি: চিপস থেকে শুরু করে খোলা বিক্রি হওয়া অতিরিক্ত তেলের ভাজাভুজি— সবেতেই বিপুল পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। এগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা নানা রকমের জটিল অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান: আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর এক সমীক্ষা বলছে, যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের আয়ু ১০ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সুস্থ ভাবে দীর্ঘায়ু পাওয়ার জন্য ধূমপানের অভ্যাস গোড়াতেই ত্যাগ করতে হবে— এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।