সংক্রামিত ব্যক্তির কাছাকাছি না এসেও বিভিন্ন কারণে আক্রান্ত হতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
ক্রমশই দেশ এবং রাজ্য জুড়ে উদ্বেগজনক হচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি। সংক্রমিত হচ্ছেন প্রচুর মানুষ। কারণ সাম্প্রতিক স্ফীতিতে করোনা অনেক বেশি সংক্রামক। দ্রুত ছড়াচ্ছে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা সত্ত্বেও সংক্রমিত হচ্ছেন অনেকে। এই বিষয়টি বেশ ভাবাচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রামিত ব্যক্তির কাছাকাছি না এসেও বিভিন্ন কারণে আক্রান্ত হতে পারেন।
কারণগুলি কী কী?
উপসর্গহীন ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে
এ বারের করোনা স্ফীতির শারীরিক উপসর্গের দু’টি বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। মৃদু উপসর্গ এবং উপসর্গহীন। যাঁরা উপসর্গহীন, তাঁরা নিজেরাই অনেক সময়ে বুঝতে পারেন না যে, আক্রান্ত কিনা। কিন্তু উপসর্গহীনরা ‘সুপার স্প্রেডার’। তাঁদের মাধ্যমে ঝটপট ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ।
ভিড়ের মধ্যে গেলে
চিকিৎসকরা বার বার ভিড় এড়িয়ে চলতে বলছেন। একজন সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে না এলেও তাঁর হাঁচি, কাশির সামনে থাকলে বা তাঁর ব্যবহৃত যেকোনও জিনিস ধরলে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
ঠান্ডা লাগা ভেবে সর্দি-কাশি এড়িয়ে গেলে
জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভোগার পরেও অনেকের মধ্যেই এই উপসর্গগুলিকে শীতকালীন ঠান্ডা লাগা ভেবে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, করোনার কোনও একটি উপসর্গও যদি দু’দিন স্থায়ী হয়, সেক্ষেত্রে অতি অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। অনেকেই তা করছেন না। ফলে সরকারি হিসাবের বাইরেওবহু সংক্রামিত মানুষ আছেন।
ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নিলে
গোটা দেশেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন কম সক্রিয় হলেও মাথায় রাখতে হবে, করোনার এই নয়া রূপটি কিন্তু অনেক বেশি সংক্রামক। ওমিক্রনের উপসর্গ অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় বলে অনেকের ধারণা ওমিক্রন হলেও অসুবিধা নেই। এই রকম ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। সচেতন এবং সতর্ক থাকুন।