অতিমারিতে সুরক্ষিত থাকতে ঘরেও মেনে চলুন কিছু নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত
হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দৈনিক হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। তবে এই অন্ধকারে আশার আলো এই যে, সাম্প্রতিক করোনা-স্ফীতিতে হাসপাতালগামী রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম। মৃদু উপসর্গ নিয়ে অধিকাংশ মানুষই নিভৃতবাসে রয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, ডেল্টার তুলনায় করোনায় নয়া রূপ ওমিক্রন কম সক্রিয় হলেও, ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রামক। ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা বেশি। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে বাড়িতেও মেনে চলুন কিছু নিয়ম।
ঘরে থাকুন
খুব প্রয়োজন না পড়লে এই পরিস্থিতিতে না বেরোনোই ভাল। যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করার চেষ্টা করা যায়, করুন। ঘরে থাকুন, সদা সতর্ক থাকুন। যদি একান্তই বেরোতে হয়, সেক্ষেত্রে সব রকম নিয়ম মেনে চলুন।
মাস্ক ব্যবহার করুন
করোনা আবহে সুরক্ষিত থাকতে অতি অবশ্যই মাস্ক পরুন। শুধু বাইরে বেরোলে নয়, বাড়িতে কেউ এলেও মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে বেরোলে একটি সার্জিকাল মাস্কের উপরে কাপড়ের মাস্ক পরে নিতে পারেন।
বার বার হাত ধুয়ে নিন
এই পরিস্থিতিতে হাত পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। বাইরে থেকে ফিরে প্রথমেই হাত ধুয়ে নিন। জামাকাপড় ছাড়ার পর ফের একবার হাত পরিষ্কার করুন। বাইরে বেরোলে সঙ্গে রাখুন স্যানিটাইজার। খেতে বসার আগে হাত ধোয়ার কথা ভুলবেন না। বাড়িতে থাকলেও কিছুক্ষণ অন্তর স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
হাঁচি-কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা
হাঁচি বা কাশির সময়ে টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন। কাছে টিস্যু পেপার না থাকলে হাতের তালুর উপরের অংশটি দিয়ে মুখ ঢাকুন। পরিবারের সকলকেও এই ভাবেই চলার পরামর্শ দিন। তাতে কোনও এক জন সংক্রমিত হয়ে থাকলেও বাকিদের কিছুটা সুরক্ষিত রাখা যেতে পারে।
বাইরের জিনিস ধরার পর চোখ-মুখ স্পর্শ করবেন না
বাজার থেকে কিনে আনা কোনও জিনিস স্পর্শ করা মাত্রই যেন চোখ-মুখে হাত না দিয়ে ফেলেন, খেয়াল রাখুন। মুখ-চোখ স্পর্শ করার আগে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজার মেখে নিন।
বাইরের আনা খাবারের বাক্স জীবাণুমুক্ত করে নিন
এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত থাকতে হলে সব বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। বাইরে থেকে কোনও খাবার এলে তা অবশ্যই স্যানিটাইজ করে নিন। তার পর নিজের হাত ধুয়ে খাবারে হাত দিন।
শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিন
বাড়ির সবচেয়ে খুদে এবং বয়স্ক সদস্যদের দিকে এই পরিস্থিতি বাড়তি নজর দিন। শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত ভাবে কম থাকে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জিনিসপত্র ধরে মুখে হাত দেওয়ার প্রবণতা থাকে। এই পরিস্থিতিতে এই রকম কাজ থেকে শিশুকে বিরত রাখুন। বয়স্কদের যাতে ঠান্ডা না লাগে, খেয়াল রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে ওই জামাকাপড়ে শিশু বা বয়স্কদের কাছে না যাওয়াই ভাল।