ছবি: সংগৃহীত।
ঘরোয়া খাবার খেয়েও গ্যাস-অম্বল পিছু ছাড়ছে না। অনেকেই এই সমস্যার বে়ড়াজালে আটকে রয়েছেন বহুদিন থেকে। বাইরের তেল-মশলাদার খাবার প্রতিনিয়ত খেলে সাধারণত এই ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু ঘরোয়া খাবার খেয়েও যে এমন হয়া, সেটা বেশ চিন্তার। তবে অনেকেরই জানা নেই, স্বাস্থ্যকর খাবার ভুল পদ্ধতিতে বানানো হওয়ার কারণেও এমন হতে পারে। কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা জরুরি?
রুটি তৈরির ভুল
বেশির ভাগ হেঁশেলে রুটি বেলার পর চাটুতে দু’পিঠ একটু সেঁকে নিয়ে গ্যাসের আঁচের উপর ফেলে ফুলিয়ে নেওয়া হয়। এতে রুটি রীতিমতো ফুলে ওঠে। এই রুটি হজম করতে অনেক সময় লাগে। কারণ বাইরেটা ভাল করে সেঁকা হলেও, এই পদ্ধতিতে রান্না করলে রুটির ভিতরের কিছু অংশ কাঁচা থেকে যায়। তার চেয়ে রুটি পুরোটাই করুন চাটুর উপরে। ফোলানোর জন্য চাটুতেই রুটির এক দিকে একটি সুতির কাপড় দিয়ে চেপে চেপে ফুলিয়ে নিন। ২-৩ মিনিট সময় বেশি লাগলেও এই রুটি হজম করতে কোনওই সমস্যা হবে না।
রান্নায় পেঁয়াজের ভুল ব্যবহার
অনেকেই পেঁয়াজ খান না। আবার অনেকের পেঁয়াজ বেশি খেলে অম্বল, বদহজম লেগেই থাকে। তবে ভারতীয় রান্নায় বেশির ভাগ পদ পেঁয়াজ ছাড়া অসম্পূর্ণ। আবার পেঁয়াজে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণও। স্যালাডের মধ্যে অল্প পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে রান্না করলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে নিন। অনেকেই বাদামি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। তা হলেই আর হজমে সমস্যা হবে না।
ভুল নিয়মে কলা খাওয়া
কলা অত্যন্ত উপকারী এক ফল। যে কোনও সময়ে যে কোনও জায়গায় খাওয়া যায়, পকেটেও সে ভাবে টান পড়ে না। কলায় রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। খাওয়ার পর চট করে শরীর স্ফূর্তিও পায়। কিন্তু অনেকে বলেন, কলা খেলে অ্যাসিডিটি হচ্ছে। তাঁরা হয়তো খেয়াল করেন না, কোন ধরনের কলা তাঁরা কিনে খাচ্ছেন। পরিষ্কার হলুদ চকচকে কলা ঠিক মতো পাকে না, কিংবা হয়তো কৃত্রিম ভাবে পাকানো হয়। এই দুই-ই শরীরের পক্ষে ভাল নয়। হয় কেনার সময়ে দেখে নিন, কলায় অল্প অল্প কালচে দাগ আছে কি না। না হলে কেনার পর দু’-তিন দিন রেখে দিন