পুষ্টির ঘাটতি হয়নি তো? ছবি: সংগৃহীত।
ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করলে সুস্থ থাকা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। খাবারে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরের যত্ন নেয় ভিতর থেকে। তবে বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্র একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে সব চেয়ে বেশি অনিয়ম হয় খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে। তার উপর ওজন কমানোর তাগিদে ডায়েট তো আছেই। সব মিলিয়ে যতটুকু খাবার প্রয়োজন, শরীর তা পায় না। ফলে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়। এ সবই শরীরের অন্দরের ব্যাপার। বাইরে থেকে বোঝার কি কোনও উপায় আছে? পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, কিছু লক্ষণ আছে, যা দেখলে বোঝা যাবে, প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার খাচ্ছেন। সেই লক্ষণগুলি জেনে নেওয়া জরুরি।
১. কম খাওয়ার আরও একটি লক্ষণ খিদে না পাওয়া। শরীরে যখন খাবারের প্রয়োজন হয়, তখন মস্তিষ্ক সঙ্কেত পাঠায় যে খিদে পেয়েছে। এই সঙ্কেত যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে অবেহলা করেন এবং কিছুই না থাকেন, তা হলে মস্তিষ্ক একটা সময়ে পর সেই ইঙ্গিত দেওয়া বন্ধ করবে। তখন কোনও খিদে পাবে না। তাতে আরও বেশি সমস্যা দেখা দেবে।
২. রক্তচাপ যদি হঠাৎ করে কমে যায়, অনেকে সেটাকে ডায়াবিটিস বলে ভুল করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে অনেকেরই খিদের কারণে মাথা ঘুরতে পারে। রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে এমন হতেই পারে। প্রত্যেক দিন যদি আপনি অনেক বেলা পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন, তা হলে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেনই। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে।
৩. অনেক সময় নানা রকম ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলেন। কিংবা অজান্তেই হয়তো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম হয়ে যায়। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। কোনও কারণ ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।