কিছু খাবার বাসি খাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
পেটের গোলমাল এড়াতে টাটকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। টাটকা খাবারের স্বাদও অটুট থাকে, স্বাস্থ্যগুণও। তাই অল্প পরিমাণে রান্না করে দিনের দিনই খেয়ে নেওয়া ভাল বলে মত পুষ্টিবিদদেরও। কিন্তু উলটপুরাণ সব কিছুতেই থাকে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। কিছু খাবার আছে, যেগুলি টাটকা নয়, বাসি খেলেই বেশি সুফল পাওয়া যায়। শরীরও অনেক বেশি পুষ্টিগুণ পায়। কোন খাবারগুলি নির্ভয়ে বাসি খেতে পারেন?
ভাত
আগের দিন রান্না করা রাত পরের দিন খেলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ভাতে প্রোবায়োটিক উপাদান রয়েছে। যত সময় যায়, সেই উপাদানের পরিমাণ বা়ড়তে থাকে। রান্নার পরেই খেয়ে নিলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোবায়োটিক উপাদান প্রবেশ করে না। বাসি খেলে ভরপুর মাত্রায় প্রোবায়োটিক উপাদান পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাসি ভাত থেকে ভিটামিন এবং মিনারেলস সমপরিমাণে শরীরে প্রবেশ করে।
রুটি
বাসি রুটি খাওয়ার চল অনেক বাড়িতেই আছে। রাতে করা রুটি বেঁচে গেলে তা ফেলে না দিয়ে সকালে খেয়ে নেন অনেকেই। বাসি রুটি খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর। কারণ বাসি রুটিতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, যা হজমের গোলমাল কমায়। বাসি রুটি আবার রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিকদের জন্য বাসি রুটি উপকারী।
দই
ভাতের মতো দইয়েও রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান। দইও যদি দু-এক দিন রেখে খাওয়া যায়, তা হলে প্রোবায়োটিক উপদান পর্যাপ্ত পরিমাণে পায় শরীর। পেটের গোলমাল দূর করতে এবং হজমের উন্নতিতে প্রোবায়োটিক উপাদান কার্যকরী। প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতেও প্রোবায়োটিক উপাদানের জুড়ি মেলা ভার।