গরমে শরীর ভাল রাখতে মেনুতে রাখুন ঠান্ডা স্যুপ। ছবি: সংগৃহীত।
স্যুপ। শুনলেই মাথায় আসে গরম ধোঁয়া ওঠা তরল। শীতের দিনে যেমন গরম স্যুপ শরীর গরম রাখতে আর প্রয়োজনীয় জলের জোগানে সাহায্য করে, তেমন কিন্তু গরমের দিনে বেছে নেওয়া যেতে পারে ঠান্ডা স্যুপ।
গাঙ্গেয় বঙ্গ-সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় গরমের পাশাপাশি থাকে আর্দ্রতা। আর্দ্রতা বেশি থাকা মানে অস্বস্তিকর আবহাওয়া। যার জেরে হয় প্রচণ্ড ঘাম। ফলে, শরীর থেকে বেরিয়ে যায় নুন ও অন্যান্য খনিজ।
শরীরের সেই ঘাটতি পূরণে মেনুতে রাখুন ‘ঠান্ডা স্যুপ’।
শসার স্যুপ- শসায় থাকে প্রচুর জল। দইয়ে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ছাড়াও থাকে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। যা পেটের জন্য ভাল। শসার বেটে তার সঙ্গে টক দই, লেবুর রস ও জিরে মিশিয়ে তৈরি করে নিন ঠান্ডা স্যুপ। ঘনত্ব রাখবেন আপনার ইচ্ছেমতো।
তরমুজের স্যুপ-তরমুজেও প্রচুর জল থাকায় গরমের দিনে জলের ঘাটতি পূরণে এই ফল খেতে বলা হয়। তরমুজের শাঁস বের করে বেটে নিয়ে তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন থেঁতো করা পুদিনা। যোগ করুন সামান্য নুন। এতে স্বাদ বাড়ে। কড়াইতে হাল্কা করে নাড়িয়ে নিন আদা-রসুন। মিশিয়ে দিন তরমুজ বাটায়। স্বাদ বাড়াতে দিয়ে দিতে পারেন ‘চিলি ফ্লেক্স’। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলেই শরীরে মিলবে বাড়তি শক্তি।
খরমুজের স্যুপ- পুষ্টিগুণে ভরা খরমুজও গরমের দিনের একটি ফল। একদম ঠান্ডা খরমুজের শাঁসের সঙ্গে আঙুরের রস, লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করে ফেলুন স্যুপ। ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন একটু ক্রিম। প্রাতঃরাশে খেয়ে বেরোলেই দিনভর শরীর থাকবে ঠান্ডা।
গাজপাজো-গাজপাজো হল ঠান্ডা টম্যাটো স্যুপ। টম্যাটো, শসা, পেঁয়াজ টুকরো করে কেটে তার মধ্যে দিয়ে দিতে স্বাদমতো নুন, সামান্য চিনি ও লেবুর রস। টম্যাটোর পরিমাণটাই বেশি থাকবে। সমস্ত মিশ্রণ ২-৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখার পর বেটে নিলেই তৈরি হয়ে গরমের দিনে খাওয়ার জন্য ঠান্ডা গাজপাজো। স্বাদ বাড়াতে ওপর থেকে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে গোল মরিচের গুঁড়ো।