যাত্রাপথে পর্যাপ্ত জল না খাওয়ার কারণেও ডিহাইড্রেশন থেকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
বাইরে ঘুরতে গেলে বাড়ির মতো তেল-মশলা কম দেওয়া পাতলা ঝোলের সন্ধান পাওয়া খুব মুশকিল। আবার খাদ্যরসিক মানুষ নানা ধরনের খাবার চেখে দেখতে পছন্দ করেন। তাই ভাল ভাল খাবার দেখলে বেশি ক্ষণ নিজেকে আটকেও রাখতে পারেন না। এ দিকে পেট তো নতুন রকম খাবারের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারে না। খাওয়ার পর থেকেই নানা রকম অস্বস্তি হওয়া শুরু হয়। বাড়িতে যে উপকরণ ব্যবহার করা হয়, সে সব দিয়ে রেস্তরাঁ বা রাস্তার ধারের দোকানে রান্না না হওয়াই স্বাভাবিক। তাই বলে ঘুরতে এসে একটু স্বাদবদল হবে না, তা তো হয় না। আবার, স্বাদবদল করতে গিয়ে পেটের গোলমাল বাধিয়ে ঘোরাটা যেন মাটি না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। হাতের কাছে ওষুধ যদি না থাকে, এমন সময়ে কাজে আসতে পারে ঘরোয়া ৩ উপাদান।
১) মৌরি
পুষ্টিবিদদের মতে, মৌরি হল কারমিনেটিভ গোত্রের একটি ভেষজ। যা পেটের পেশির সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি। এ ছাড়াও মৌরির মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং প্রদাহনাশকারী যৌগগুলি পেট ফাঁপা, গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
২) এলাচ
খাওয়াদাওয়া করার পর মুখশুদ্ধি হিসাবে অনেকেই এলাচের দানা খেয়ে থাকেন। ঘুরতে গিয়ে যদি হজম সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় বা বমিভাব আসে, সে ক্ষেত্রে এই টোটকা বেশ উপকারী। এ ছাড়া, এলাচের গুণে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) লেবু
ঘুরতে যাওয়ার সময় দীর্ঘ পথের ক্লান্তি থেকে অনেকেরই পেটের নানা রকম সমস্যা হয়। সমতল থেকে পাহাড়ি পথে ওঠার সময়ে অনেকেরই বমি হয়। যাত্রাপথে পর্যাপ্ত জল না খাওয়ার কারণেও ডিহাইড্রেশন থেকে এমন সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুরতে যাওয়ার সময় সঙ্গে গোটা একটি পাতিলেবু বা গন্ধরাজ লেবু রাখলে এমন সমস্যা অনেকটাই এড়িয়ে চলা যেতে পারে। কখনও লেবুর গন্ধ শুঁকে বমিভাব কাটানো যেতে পারে। আবার উষ্ণ জলে লেবুর রস খেয়েও গ্যাস, অম্বলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।