অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মদ্যপান না করলেই ভাল। ছবি : সংগৃহীত
সপ্তাহান্তে বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ। এ দিকে তিন-চার দিনের জ্বর সর্দি থেকে চটজলদি সেরে উঠতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করছেন। জ্বর কমে গেলেও ওষুধ খাওয়া শেষ হয়নি তখনও। বন্ধুর বাড়িতে জমজমাট আড্ডার আর খাওয়া তো ছিলই, সঙ্গে অল্প-বিস্তর মদ্যপানও বাদ যায়নি। তার পর থেকেই শরীরটা কেমন যেন অস্থির লাগছে। এসিতে থেকেও কেন এত ঘামছেন, তা-ও বুঝতে পারছেন না। বুকেও চাপ ধরছে দেখে ভাবছেন খাওয়াটা বোধ হয় একটু বেশি হয়ে গিয়েছে।
আপাত ভাবে প্রতিদিনের তুলনায় একটু বেশি খেলে বা অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মশলা খেলে শরীরে এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে আমরা একেবারেই মাথা ঘামাই না, তা হল মদ্যপান। অনেকেরই ধারণা, মদ্যপান করলে শরীরের নানা রকম ক্ষতি হয়। কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল খাওয়ার কিছু উপকারও রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে, যা চলাকালীন মদ্যপান একেবারেই নিষিদ্ধ। তাই ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মদ্যপান না করলেই ভাল।
‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস’-এর মত অনুযায়ী, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নয়, অন্ততপক্ষে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর মদ্যপান করা যেতে পারে।
এই বিষয়ে চিকিৎসক অদ্রিজা রহমান মুখোপ্যাধায় বলছেন, ‘‘সামান্য পেট খারাপ বা আমাশার ওষুধ খেয়েও মদ্যপান করা উচিত নয়। কারণ অনেকেই জানেন না মেট্রোজিলের মতো ওষুধও কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক।’’
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে মদ্যপান করলে শরীরে কী কী অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়?
১) শ্বাসকষ্ট
২) মাথাধরা
৩) বুকে চাপ ধরা
৪) অস্বাভাবিক হৃদ্স্পন্দন
৫) বমি বমি ভাব
কোন কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খেলে মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকবেন?
১) কো-ট্রিমোক্সাজ়োল
২) লিনজ়োলিড
৩) ডক্সিসাইক্লিন
৪) এরিথ্রোমাইসিন