পোড়া খাবার কোন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে তন্দুরি চিকেনের প্রতি আলাদাই একটা প্রেম তৈরি। শীতের আমেজ গায়ে মেখে রেস্তরাঁয় গিয়ে অনেকেই এখন তন্দুরি কিংবা গ্রিল্ড চিকেন অর্ডার করছেন। আর বড়দিন, বর্ষশেষের পার্টিতে তো এই ধরনের বাহারি খাবার থাকেই। তা ছাড়া, সারা বছর যাঁরা ডায়েট করেন, তাঁরা গ্রিল্ড চিকেন, ফিশ খেয়েই থাকেন। এই খাবারগুলি খেতে ভাল লাগলেও আসলে শরীরের জন্য একেবারই ভাল নয় বলে জানাচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণা।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তন্দুরি বলে নয়, যে কোনও পোড়া খাবারই শরীরের জন্য বিপজ্জনক। নিয়মিত এই রকম খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তেমনটাই জানাচ্ছে গবেষণা। উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ ক্ষণ ধরে রান্না করা যে কোনও খাবার খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনে মারণরোগ। বেশি তাপে খাবারে অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হতে থাকে। যা ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
উচ্চ তাপমাত্রায় কিংবা খোলা আগুনে রান্না করলে, মাংস পোড়ালে মাংসের মধ্যে যে উপাদান তৈরি হয়, তা বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াপ মাধ্যমে কার্সিনোজেনিক যৌগের সৃষ্টি করে। ২০১০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে আগুনে ঝলসানো মাংসে বেশি পরিমাণে কার্সিজোনিক থাকে। যা ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
এ সংক্রান্ত আরও তথ্য উঠে এসেছে। রান্না করা রেড মিটে অল্প পরিমাণে হলেও ‘হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস’ নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এ ছাড়া, আরও এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যার নাম ‘পলিসাইক্লিক অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন।’ এগুলি সবই ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে বলে জানা গিয়েছে।
ইদানীং ক্যানসার আক্রান্তের হার যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। প্রতি বছর মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকের বেশির কারণ ক্যানসার। তাই সাবধানে থাকা জরুরি। পোড়া খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই শ্রেয়। বরং এ ছাড়া নুন, চর্বিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।