স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিড থাকলে খাওয়া যাবে কোন ৫ সব্জি? ছবি: সংগৃহীত।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা ইদানীং বেড়েই চলেছে। বয়স্কদের তো বটেই, এমনকি অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো ইউরিক অ্যাসিডের কারণেও জীবনযাপনে চলে আসে অনেক রকম বিধিনিষেধ। শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাকহার কেমন, তার উপর। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলেও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কিছু সব্জি আছে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। জেনে নিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কোন কোন সব্জি ভুলেও খাবেন না।
বেগুন: বেগুন সর্ষে কিংবা ভাজা— এই সব্জি অনেকেরই প্রিয়। তবে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে এই সব্জি না খাওয়াই ভাল। বেগুনে থাকে পিউরিন যৌগ যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তেঁতুল: তেঁতুলও বাড়িয়ে দিতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে তেঁতুল খাওয়া উচিত নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ফ্রুকটোজের পরিমাণ রয়েছে ১২.৩১ গ্রাম। যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
টোম্যাটো: অনেকেই আছেন যাঁরা রান্নায় খুব বেশি টোম্যাটো ব্যবহার করেন। নিরামিষ তরকারি থেকে পাঁঠার মাংস সবেতেই লাগে এই সব্জি। এতে ডায়েটরি ফাইবার বেশি মাত্রায় থাকে। টোম্যাটোতেও অক্সালেটের মাত্রা বেশি। তাই ইউরিক অ্যাসিড থাকলে এই সব্জিটি না খাওয়াই ভাল।
ঢ্যাঁড়শ: অনেকেই ঢ্যাঁড়শ খেতে খুব ভালবাসেন। তবে এই সব্জি বেশি মাত্রায় খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ঢ্যাঁড়শ এড়িয়ে চলাই ভাল।
পালংশাক: শরীর চাঙ্গা রাখতে বেশি করে শাকপাতা খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে হাড়ের যত্ন নেওয়া— পালংশাকের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পালংশাক না খাওয়াই ভাল। পালংশাকে থাকা বেশ কয়েকটি উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পাতে পালংশাক না রাখাই ভাল।