বাদামের মান কেমন? ছবি: সংগৃহীত।
চিনেবাদাম খেতে ভালবাসেন। তাই সুযোগ পেলেই যখন-তখন দু’-চারটে করে বাদাম মুখে ফেলে দেন। সকালে ভেজানো বাদাম খেয়ে দিন শুরু করেন। জলখাবারে পোহা খান, তার মধ্যেও একমুঠো বাদাম ছড়িয়ে দেন। আবার, বিকেল-সন্ধ্যায় মুড়ি খেলে তাতেও বাদাম থাকে। বাদামের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা হার্ট ভাল রাখে। বাদামের মধ্যে থাকা প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বক এবং চুলের জন্যও ভাল। তবে মানের কথা ভেবে বেশির ভাগ সময়ে দোকান থেকে প্যাকেটজাত চিনেবাদাম কেনেন। ভাল মানের বাদাম বলেই কি তা শরীরের উপকারে লাগে?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা ‘আইসিএমআর’ লখনউয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, প্যাকেটজাত বাদামের মধ্যে ‘অ্যাফ্লাটোক্সিন’-এর অস্তিত্ব রয়েছে। বাদাম প্যাকেটজাত করার সময়ে সেগুলিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাদামে রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। যার ফলে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লিভার ক্যানসারের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তা হলে কি বাদামেও নিষেধাজ্ঞা এসে পড়বে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে লিভারের ক্ষতি এড়িয়ে চলা যায়। সবচেয়ে ভাল হয় যদি খোলাবাজার থেকে কাঁচা বাদাম কিনে তা বাড়িতে সেদ্ধ করে, শুকনো খোলায় ভেজে নিতে পারেন। এই পদ্ধতি মেনে চলতে পারলে বাদামের মধ্যে থাকা বিষাক্ত ‘অ্যাফ্লাটোক্সিন’-এর প্রভাব অনেকাংশে মুক্ত করা যায়।