বাজারে গেলে অবশ্য দু’রঙা ডিম পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত
ডিম অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে। ডিম যেমন স্বাদের যত্ন নেয়, পাশাপাশি খেয়াল রাখে শরীরেরও। রূপচর্চাতেও ডিমের ভূমিকা অনবদ্য। চুল থেকে ত্বক— আগলে রাখে ডিম দিয়ে তৈরি নানা ফেসপ্যাক। তবে বাজারে গেলে অবশ্য দু’রঙা ডিম পাওয়া যায়। সাদা এবং বাদামি। অনেকে মনে করেন সাদার চেয়ে বাদামিরঙা ডিম বেশি স্বাস্থ্যকর। বাড়ির বড়দেরও অনেক সময় তা বলতে শোনা যায়। বাদামি ডিম অধিক পুষ্টিসম্পন্ন বলেও ধারণা অনেকেরই।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের মতো পুষ্টিগুণ খুব কম খাবারেই রয়েছে। ডিমে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, সেলেনিয়ামের মতো উপকারী কয়েকটি উপাদান। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের কুসুম খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। ডিমের সাদা অংশে কুসুমের তুলনায় প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে।
পেশি শক্তিশালী করতেও ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়ম করে যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের ডিম খাওয়া জরুরি। হাড়ের যত্ন নেওয়া থেকে মাংসপেশি সবল রাখা— সবেতেই সিদ্ধহস্ত ডিম। দীর্ঘ ক্ষণ শরীরচর্চার পরে দুর্বল পেশি সবল করতে ডিম খাওয়া জরুরি। এ ছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তোলে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ডিম ওজন কমানোর কাজেও সাহায্য করতে পারে। এ ছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন হজমপ্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তোলে। হজম ঠিক থাকলে ওজনও থাকবে হাতের মুঠোয়।
তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, বাদামি এবং সাদা রঙের ডিমের মধ্যে পুষ্টিগত দিক থেকে কোনও পার্থক্য নেই। অমিল রয়েছে শুধু ডিমের খোলার রঙে। বাজারে বাদামি ডিমের চেয়ে সাদা ডিম বেশি দেখা যায়। এর কারণ বাদামি ডিমের উৎপাদন অত্যধিক খরচসাপেক্ষ। কারণ যে মুরগি বাদামি ডিম পাড়ে, তাদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক বেশি। যে ধরনের খাবার এদের খেতে দেওয়া হয়, তার বাজারমূল্য অনেক বেশি। তাই ডিমের দামও অনেক বেশি। এ ছা়ড়া আর কোনও তফাত সত্যিই নেই এই দু’টি ডিমের মধ্যে। স্বাদ আলাদা হলেও গুণাবলির দিক থেকে বাদামি আর সাদা রঙের ডিমে কোনও পার্থক্য নেই। সুস্থ থাকতে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারেন। কোনও অসুবিধা নেই।