সকালের জলখাবার খান নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে রীতিমতো যুদ্ধ চলে হেঁশেলে। ঘুম ভাঙতেই মাথায় একরাশ চিন্তা ভিড় করে। ছেলেমেয়ের টিফিনে কী দেবেন, সকালের জলখাবারে কী করবেন, হেঁশেল ঢোকার আগেই সেটা ছকে নেন। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা যেন ঝড় বয়ে যায়। অথচ এই ব্যস্ততার মাঝে নিজের খাওয়ার কথা এক বারও মনে থাকে না।
সব কাজ সেরে যখন ব্যস্ততা খানিকটা কমে, তখন আবার সকালের খাবার খাওয়ার সময় পেরিয়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে অনেকেই এমন রুটিনেই অভ্যস্ত। সকালে না খাওয়ার অভ্যাস যে কতটা ঝুঁকির হতে পারে, একটা বয়সের পর তা প্রকাশ পেতে শুরু করে। সকালে খালিপেটে থাকা একেবারেই উচিত নয়। শুধু পেট ভরে খেলেই হবে না। সকালে জলখাবার খাওয়ার কিছু নিয়মকানুন আছে। সেগুলি মেনে চললে রোগবালাই খানিকটা হলেও আটকানো যাবে। ৩টি ভুল এড়িয়ে চলুন।
ভুল ১: প্রোটিন কম খাওয়া
সকালের খাবারে প্রোটিন বেশি থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তাই সকালের খাবারে সব সময়ে চেষ্টা করুন প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রাখতে। বিশেষ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে, সকাল শুরু করা উচিত প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে। তাতে দীর্ঘ ক্ষণ পেটও ভর্তি থাকে। বার বার খিদে পায় না।
ভুল ২: পরিমাণে কম খাওয়া
সকালের দিকে অনেকের বেশি খেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু অভ্যাস বদলানো জরুরি। সকালে পেট ভরে খেলে বিপাক হার বাড়ে। ফলে শরীর পুষ্টি পায়। সারা দিন চনমনে থাকে শরীর। উপরন্তু ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম থাকে।
ভুল ৩: সময় মতো না খাওয়া
যতই ব্যস্ততা থাকুক, সকালের খাবার বাদ দেওয়া একেবারেই চলবে না। অনেকে ওজন কমানোর জন্য সকালের খাবার বাদ দিয়ে দেন। তাতে আরও ক্ষতি হয়। এই ধরনের অভ্যাস থাকলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। শুধু ছিপছিপে থাকা নয়, নিয়মিত সকালের খাবার খাওয়ার অভ্যাস রাখলে, ভিতর থেকে সুস্থ থাকে শরীর।