লিভার ভাল রাখার মন্ত্র। ছবি: সংগৃহীত।
আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাসে অনিয়ম এবং শরীরচর্চার অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার। অতিরিক্ত তেলমশলা, ঘি, মাখন, অ্যালকোহল দেওয়া খাবার খেলে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে। শারীরবৃত্তীয় কাজে অংশ নেওয়া নানা রকম উৎসেচক ক্ষরণ এবং উৎপাদনেও লিভারের বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু লিভারের ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেই স্বাভাবিক এই কাজগুলি ব্যাহত হয়। লিভারের অসুখ তো বটেই, তার সঙ্গে হানা দিতে অন্যান্য রোগও। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কয়েকটি ভেষজ নিয়মিত খেতে পারলে লিভারের সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
১) হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান লিভারে জমা দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
২) গ্রিন টি
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হল ‘সর্বঘটে কাঁঠালি কলা’র মতো একটি উপাদান। শুধু লিভার নয়, শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চুল, ত্বক, শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভূমিকা রয়েছে। গ্রিন টি-র মধ্যে এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
৩) সাইট্রাস ফল
কমলালেবু, মুসাম্বি, বাতাবি বা সাধারণ পাতিলেবুও লিভারের যত্নে খাওয়া যায়। এই ধরনের ফলে ভিটামিন সি-র পরিমাণ বেশি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
৪) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এমন খাবার লিভার ভাল রাখে। তাই বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ, সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। লিভারের পাশাপাশি হার্টের খেয়াল রাখে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
৫) যে কোনও কপি
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি কিংবা ব্রকোলি— এই জাতীয় সব্জিতে গ্লুকোসিনোলেট্স নামক একটি উপাদান থাকে। তা লিভার থেকে ‘টক্সিন’ দূর করতে সাহায্য করে।