নিজেকে লাস্যময়ী এবং ফিট রাখতে শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের যত্ন নেন মৌনী। ছবি: সংগৃহীত
বিয়ের পিঁড়িতে লাল টুকটুকে বেনারসিতে কিংবা সমুদ্র সৈকতে ব্রালেট এবং র্যাপ স্কার্ট— সব ধরনের পোশাকে নিজেকে নিঁখুত ভাবে সাজিয়ে তোলেন অভিনেত্রী। অভিনয় তো বটেই, বঙ্গতনয়ার ছিপছিপে চেহারায় মুগ্ধ গোটা দেশ। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে ধূসর চরিত্রে তাঁর অভিনয় দক্ষতা, ফিটনেস এবং আলাদা করে চোখে পড়ে। মৌনীর মতো চেহারা পাওয়া কিন্তু সহজ নয়। এমন সৌন্দর্যের নেপথ্যে রয়েছে নিয়মাফিক কিছু রুটিন। এর আগে বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে নিজের সৌন্দর্যের রহস্য নিয়ে অকপট হয়েছেন মৌনী। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল তাঁর দৈনন্দিন রোজনামচা। নিজেকে লাস্যময়ী এবং ফিট রাখতে শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের যত্ন নেন তিনি। বি-টাউনের অন্যতম ‘ফিটনেস ফ্রিক’ তাঁকে বলাই যায়। তবে শরীরচর্চা ছাড়াও সৌন্দর্য ধরে রাখতে খাওয়াদাওয়ার উপর বেশি নজর দেন মৌনী। মৌনীর রোজের খাদ্যতালিকায় কী কী থাকে?
মৌনী সকাল শুরু করেন গ্রিন টি দিয়ে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সঠিক ভাবে হজম না হওয়া ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। সেই কারণে দিনের শুরুতে গ্রিন টি-এর কাপে চুমুক দেন তিনি। মৌনীর জলখাবারে সব সময় ভারী খাবার থাকে। মুসলি, ফল, ওটস— বাড়িতে থাকুন কিংবা শ্যুটিং-এ সকালের খাবারে এগুলি থাকবেই। তবে কোনও দিন একটু হালকা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হলে উপমা, পোহা কিংবা ইডলি খেয়ে নেন। মৌনী খেয়াল রাখেন, তাঁর খাবারে যেন প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেটের সমতা বজায় থাকে। এই কারণে মৌনী সব সময়ই খুব চনমনে থাকেন।
বাড়িতে থাকলে সকালে জলখাবার খাওয়ার পর কিছু ক্ষণ শরীরচর্চা করেন। বিভিন্ন রকম যোগাসন ছাড়াও তাঁর শরীরচর্চার তালিকায় থাকে পালাটেস, ওয়েট ট্রেনিংও। অভিনেত্রীর পাশাপাশি মৌনী এক জন নৃত্যশিল্পীও। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নাচটাও মন দিয়ে করেন তিনি। শরীরচর্চা হয়ে গেলে মৌনী খান স্যালা়ড, প্রোটিন শেক এবং সেদ্ধ বিনস্।
মৌনীর দুপুরের খাবারে থাকে গ্রিন স্যালাড এবং বিভিন্ন মরসুমি ফল। ভিতর থেকে চমনে থাকতেই দুপুরে ভাত, ডাল কিংবা রুটির বদলে এমন হালকা খাবার খান মৌনী। দুপুরে ভাত বা রুটি না খেলেও মৌনীর রাতের খাবারে বেশির ভাগ দিনই থাকে চাপাটি, স্যালাড এবং বাড়িতে তৈরি সব্জি।