ডালিয়া না ওট্স কোনটি খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালের জলখাবারে কী খাবেন? সপ্তাহান্তে একটা ছুটির দিন না হয় গরম, ফুলকো লুচি আর ছোলার ডাল খেলেন। কিন্তু রোজ লুচি খেলে তো পেটের বারোটা বাজবে। তার পর আবার ডায়াবিটিসের ঝামেলাও রয়েছে। ডায়াবিটিস থাকলে এই এক সমস্যা। কোনটা খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে, আর কোনটা খেলে বশে থাকবে, তা তো বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। তা ছাড়া, অফিসে বেরোনোর আগে যথেষ্ট তাড়া থাকে। তাই খাবারদাবার নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায় না। বেশির ভাগ দিনই হয় ওট্স, না হয় ডালিয়া খেয়েই দিন কাটাতে হয়। দুটো খাবারেরই ফাইবারের পরিমাণ বেশি। বেশ কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে ওট্স এবং ডালিয়ায়। তা সত্ত্বেও পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডালিয়ার চেয়ে ওট্স ভাল। কেন?
পুষ্টিগুণের বিচারে কোনটি কেমন?
১) ডালিয়ার চেয়ে ওট্সে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ওট্সের মধ্যে রয়েছে বিটা-গ্লুকান। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এই উপাদানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২) ওট্সের মধ্যে এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, যেগুলি আসলে প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে। হার্টের পেশি যাতে ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে, সে দিকেও খেয়াল রাখে।
৩) যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের খাবার নিয়ে নানা রকম বিধিনিষেধ থাকে। যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, সে ধরনের খাবার খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। ওট্সে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং ক্যালোরির পরিমাণ ডালিয়ার তুলনায় কম।