স্বাদের দিক থেকে মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিম ঢের ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
সকালের জলখাবারে মুরগির ডিম সেদ্ধ বা পোচ থাকে। কিন্তু রাতে ভাত কিংবা রুটির জন্য হাঁসের ডিমের ঝোল খেতেই পছন্দ করেন অনেকে। স্বাদের দিক থেকে মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিম ঢের ভাল। কিন্তু পুষ্টিগুণের বিচারে এগিয়ে কে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হাঁস এবং মুরগি— দু’ধরনের ডিমেরই নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মুরগির চেয়ে হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি। তবে, গরমকালে হাঁসের ডিম খেলে সমস্যা হতে পারে। তাই পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে নিজের শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে ডিম খাওয়াই শ্রেয়।
হাঁসের ডিমের চেয়ে মুরগির ডিম কোন কোন বিষয়ে এগিয়ে?
১) প্রোটিন:
হাঁসের ডিমে প্রোটিনের মাত্রা প্রায় ৯ গ্রাম। মুরগির ডিমে তা ৬ গ্রামের মতো। সুতরাং শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে হলে মুরগির চেয়ে হাঁসের ডিম ভাল।
২) ফ্যাট:
হাঁসের ডিমে ফ্যাটের পরিমাণ ১০ গ্রাম এবং মুরগির ডিমে ৫ গ্রাম। যদিও ডিমে যে ধরনের ফ্যাট থাকে, তা আনস্যাচুরেটেড গোত্রের। হার্টের জন্য এই ধরনের ফ্যাট ভাল।
৩) ভিটামিন এবং মিনারেল:
হাঁসের ডিমে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। মুরগির ডিমেও যে এই উপাদানগুলি নেই, তা নয়। তবে পরিমাণে কম।
৪) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড:
হার্ট, মস্তিষ্ক ভাল রাখতে এবং প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মুরগির ডিমের চেয়ে হাঁসের ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি।
৫) কোলেস্টেরল:
হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ৬০০ মিলিগ্রাম। কিন্তু মুরগির ডিমে এই কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১৮৫ মিলিগ্রাম। এই একটি মাত্র কারণেই পুষ্টিবিদদের কাছে হাঁসের ডিমের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মুরগির ডিম। যদিও চিকিৎসকেরা বলেন, খাবারের মধ্যে যে ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, তার সঙ্গে রক্তের ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও হার্টের রোগীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকাই ভাল।