অ্যালার্জির হাত থেকে মুক্তি পেতে আনারস খেতে পারেন। ছবি : সংগৃহীত
সকালে চোখ খোলা থেকেই শুরু হয় ওষুধ খাওয়া। খাবারের চেয়ে ওষুধের সংখ্যাই বেশি। তার উপর যদি আবার ব্রণ, চুল পড়া থেকে রেহাই পেতেও ওষুধ খেতে হয়, তা হলে কি আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে? মাঝেমাঝে নিশ্চয়ই মনে হয় এমন কোনও ওষুধ কি নেই, যাতে সব সমস্যার সমাধান এক বারে হবে!
এমন ওষুধ নেই। তবে এমন ফল কিন্তু আছে। ভিটামিন এ, কে, সি, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজে ভরপুর আনারস, আপনার ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যের এমন অনেক সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।
অনেকেই অ্যালার্জির হাত থেকে মুক্তি পেতে আনারস খেয়ে থাকেন। আনারস কিন্তু বিপাক হার বৃদ্ধি করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। এ ছাড়াও প্রতিদিন আনারস খেলে আপনার শরীরের কেমন প্রভাব পড়ে, দেখে নিন।
স্বাস্থ্যরক্ষায়
আনারস কেটেই খান বা রস করে খান, আনারসের গুণে বহু রোগ নিরাময় হয়।
সর্দি কাশি নিরাময়ে
আপনার যদি ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে, প্রতিদিন কিছুটা পরিমাণ আনারস খাওয়ার চেষ্টা করুন। আনারসে থাকা ‘ব্রমেলাইন’ নামক বিশেষ একটি উৎসেচক, যা সর্দিজনিত সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করতে
ক্যালশিয়াম ছাড়াও হাড় ভাল রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ম্যাঙ্গানিজ। প্রাকৃতিক ভাবে এই যৌগটির উৎস হল আনারস। বয়সকালে হাড়ের সমস্যা এড়াতে, প্রতিদিন আনারস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
দাঁতের সমস্যা
হাড়ের মতোই আনারসে থাকা ম্যাঙ্গানিজ দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে
নিয়মিত আনারস খেলে ক্যানসারের মতো রোগকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। আনারসে থাকা বিভিন্ন উপাদান ক্যানসারকে দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়তে দেয় না।
চোখের জন্য ভাল
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আনারস চোখের বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
ত্বকের যত্নে
ভিটামিন সি, ‘ব্রমেলাইন’ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ আনারস ব্রণ কমাতে, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে এবং ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে
চুলের যত্নে ভিটামিন সি অপরিহার্য, এ কথা অনেকেই জানেন। এখন সমস্যা হল অনেকেরই লেবু সহ্য হয় না। কিন্তু লেবু ছাড়াও ভিটামিন সি-র প্রাকৃতিক উৎস হল আনারস। মসৃণ এবং জেল্লাদার চুল পেতে, চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে এবং মাথার ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ রুখতে আনারস একাই একশো।