বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ এই রোগে কষ্ট পাচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা নতুন নয়। অনেকেই এই রোগে ভোগেন। সমীক্ষা বলছে, বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ এই রোগে কষ্ট পাচ্ছেন। ‘আমেরিকান কলেজ অফ রিউম্যাটোলজি’র সাম্প্রতিক গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, অত্যধিক মাত্রায় প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে। এই অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি এবং লিভারের উপরেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তাই খাওয়াদাওয়া একটা নিয়মে বাঁধা প্রয়োজন। যে কোনও শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রেই পাতে নিয়মিত শাকসব্জি রাখার কথা বলেন চিকিৎসকরা। তবে সব্জি মানেই যে উপকারী, এমন নয়। কয়েকটি সব্জি আছে যেগুলি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বেগুন
বেগুন সর্ষে কিংবা ভাজা— বেগুন অনেকেরই প্রিয় খাবার। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড থাকলে এই সব্জি এড়িয়ে চলাই ভাল। বেগুনে থাকে পিউরিন যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া অ্যালার্জি থাকলেও বেগুন খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা।
পালংশাক
শাক মাত্রেই উপকারী। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে হাড়ের যত্ন নেওয়া— পালংশাকের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পালংশাক না খাওয়াই ভাল। পালংশাকে থাকা কয়েকটি উপাদান ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিড থাকলে পাতে পালংশাক না রাখাই ভাল।
টম্যাটো
বাঙালি খাবারে টম্যাটোর চল খুব বেশি। ডাল থেকে পাঁঠার মাংস সবেতেই লাগে এই সব্জি। এতে ডায়েটরি ফাইবার বেশি মাত্রায় থাকে। টম্যাটোতেও অক্সালেটের মাত্রা বেশি। তাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের চিকিৎসকরা এই সব্জিটি না খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ঢ্যাঁড়শ
অনেকেই ঢ্যাঁড়শ খেতে খুব ভালবাসেন। তবে এই সব্জি বেশি মাত্রায় খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ঢ্যাঁড়শ এড়িয়ে চলাই ভাল।