Ananya Pandey

‘ভোরে উঠতে যে কী কষ্ট হত’! আলস্য কাটিয়ে কী ভাবে সকাল সকাল ব্যায়াম শুরু করেন অনন্যা?

সকালে উঠে শরীরচর্চা করার জন্য কেবল শারীরিক ভাবে ফিট থাকাই জরুরি নয়, মানসিক ভাবে তরতাজা থাকাও দরকার। তাই আগে মনস্থির করতে হবে। কী ভাবে, টিপ্‌স দিলেন চাঙ্কি-কন্যা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৪
Ananya Panday says, why fitness should be about mental strength

ঘুম ভাঙবেই, ভোরে ওঠার সহজ টিপ্‌স দিলেন অনন্যা পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত।

সুস্থ থাকতে সকাল সকাল দিন শুরু করার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু অনেকে ঘুমোতেই যান ভোরের দিকে। রাত জাগা এবং বেলা করে ঘুমোনো— এই অভ্যাস এক সময়ে অনন্যা পাণ্ডেরও ছিল। অভিনেত্রী বলেছেন, “সকাল সকাল বিছানা ছেড়ে ওঠার যে কী কষ্ট, তা আমি ভাল মতোই জানি!” কিন্তু আলস্য কাটিয়ে ভোরে উঠে শরীরচর্চা করার সুফল কতটা, তা-ও জানিয়েছেন চাঙ্কি-কন্যা। কী ভাবে ভোরে ওঠা অভ্যাস করেছেন তিনি, সেই টিপ্‌সও দিয়েছেন।

Advertisement

অনন্যার কথায়, সকালে উঠে শরীরচর্চা করার জন্য কেবল শারীরিক ভাবে ফিট থাকাই জরুরি নয়, মানসিক ভাবে তরতাজা থাকাও দরকার। ভোরে উঠতেই হবে, এই লক্ষ্য যদি থাকে এবং উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা কম হয়, তা হলেই সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব হবে। সে জন্য আগে মনকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে।

ভোরে ওঠার কী টিপ্‌স দিলেন অনন্যা?

ঘুমোতে যাওয়ার আগে ধ্যান

রাতে তাড়াতাড়ি শুতে যেতেই হবে। আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত ১৫ মিনিটও যদি ধ্যান করা যায়, তা হলে শরীর ও মন তরতাজা থাকবে। দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা যাবে অনেকটাই। দিনভর চিন্তাভাবনা, পরিশ্রমে শরীরের পাশাপাশি মনও ক্লান্ত থাকে। তাই ঘুম আসতে চায় না সহজে। ওই সময়টায় তাই অনেকেই টিভি দেখে, মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করে সময় কাটান। ফলে শরীরের বারোটা বাজে। তাই নিয়মিত ধ্যান করলে মন ফুরফুরে থাকবে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময়ে ক্লান্ত লাগবে না।

হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন

অনন্যার কথায়, সকাল সকাল ওয়েট ট্রেনিং বা কার্ডিয়ো করতে হবে ভাবলেই আলস্য লাগবে। কিন্তু যদি শুরুতে গান চালিয়ে নাচ, সাইকেল চালানো, হালকা যোগব্যায়াম দিয়ে দিন শুরু করেন, তা হলে আলস্য লাগবে না। পারলে বন্ধুদের সঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে যান। সকলে মিলে হাঁটলে বা জগিং করলে মন ভাল থাকবে। শরীরচর্চা করতে হবে এই চিন্তায় উদ্বেগও বাড়বে না।

সকালে উঠেই ফোন দেখবেন না

হাত যতই নিশপিশ করুক, ঘুম থেকে উঠেই ফোন দেখার অভ্যাস বন্ধ করা জরুরি। চোখ খুলেই প্রথমে ধাতস্থ হয়ে নিন। তার পর পরিষ্কার হয়ে কিছু ক্ষণ শরীরচর্চায় মন দিন। তার পরে ফোন দেখতে পারেন। কিন্তু ঘুম চোখ খুলেই ফোন ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলে মানসিক চাপ আরও বাড়বে। তখন আর ব্যায়াম করতে ইচ্ছে হবে না।

নতুন নতুন ব্যায়াম শিখুন

একই ব্যায়াম করতে থাকলে একঘেয়েমি এসে যাবে। যদি মনে করেন পরদিন ভোরে উঠে নতুন কিছু শিখবেন, তা হলে আপনা থেকেই ঘুম ভাঙবে। যোগব্যায়ামের নতুন কোনও আসন অথবা নাচের নতুন কোনও স্টেপ শিখে অভ্যাস করুন। অনেকের সঙ্গে মিলে ছোটখাটো প্রতিযোগিতাও করতে পারেন, যে পরদিন ভোরে কতটা দৌড়বেন। তা হলে আনন্দও পাবেন, পাশাপাশি শরীরচর্চাও হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement