চিয়া কখন বিপদ ডেকে আনে? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদরা চিয়া বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নানা রকম পুষ্টিগুণের জন্য ক্রমশই এই বীজের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ওজন কমাতে সাহায্য করে বলে স্বাস্থ্য সচেতনেরা প্রায় রোজই এই বীজ খাওয়ার চেষ্টা করেন। বেকিং, পুডিং কিংবা স্যালাডেও চিয়া দেওয়ার চল রয়েছে। এই বীজ ওজন কমায় ঠিকই, কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহারে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যাও। খাওয়ার আগে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার।
১) চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বেশ কিছু পেপটাইড। এই সমস্ত উপাদান স্বাভাবিক ভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা কমে যেতে পারে। হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলেও কিন্তু প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।
২) বেশি চিয়া বীজ খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। ধমনীতে ‘ক্লট’ বা ‘প্লাক’ জনিত সমস্যা থাকলে তা এক দিকে ভাল। কিন্তু অনেকেই রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান। তার সঙ্গে চিয়া বীজ খেলে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেটেছড়ে গেলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৩) ডায়াবিটিস বা রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিয়া বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক কম। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য চিয়া বীজ ভাল। বিভিন্ন গবেষণায় তেমন প্রমাণও মিলেছে। তা সত্ত্বেও চিয়া কখন বিপজ্জনক হয়ে ওঠে জানেন? চিকিৎসকের দেওয়া ইনসুলিন হরমোনের ওষুধ এবং চিয়া বীজ একসঙ্গে খেলে শর্করার মাত্রা একেবারে কমে গিয়ে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।