Moon Face

‘মুন ফেস’ কী? ‘চাঁদপানা’ মুখের আড়ালেও যে রোগ লুকিয়ে থাকতে পারে, তা জানেন?

জন্মের পর শিশুদের মুখেও এমন ফোলাভাব দেখা যায়। পোশাকি ভাষায় যাকে ‘বেবি ফ্যাট’ বলেন অনেকে। সেখান থেকে সাধারণত সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ১০:৩৪
All you need to know about Moon Face and it’s causes

—প্রতীকী ছবি।

সমাজমাধ্যমে বেশ কয়েক দিন ধরে ‘মুন ফেস’ শব্দবন্ধটি ঘোরাফেরা করছে। এত কাল তো সাধারণ মানুষের কাছে ‘চাঁদপানা’ মুখের কদর শুনে এসেছেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলেও মুখের গড়ন এমন হতে পারে।

Advertisement

জন্মের পর শিশুদের মুখেও এমন ফোলাভাব দেখা যায়। পোশাকি ভাষায় যাকে ‘বেবি ফ্যাট’ বলেন অনেকে। সেখান থেকে সাধারণত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। একটা বয়সের পর সেই ফ্যাট ঝরেও যায়। কিন্তু, প্রাপ্তবয়স্কদের মুখে অর্থাৎ গালের দু’পাশে মেদ জমতে শুরু করলে বা মুখ অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে গেলে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

‘মুন ফেস’ আসলে কী?

মুখ বা গালের দু’পাশ অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে গেলে স্বভাবতই তা গোলাকৃতি হয়ে যায়। মেদ কিংবা তরল জমেও অনেক সময়ে মুখ একেবারে চাঁদের মতো গোল হয়ে যায়। কান ঢেকে যায় মুখের আড়ালে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘মুন ফেস’। মুখ ফুলে থাকলেও কোনও রকম ব্যথা বা যন্ত্রণা হয় না।

‘মুন ফেস’ কেন হয়?

১) বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধের মধ্যে রয়েছে ‘কর্টিকোস্টেরয়েড’। এটি এমন একটি উপাদান, যা প্রয়োগে মুখে মেদ জমার পরিমাণ বেড়ে যায়। সেই ওষুধের প্রভাবে মুখ এমন ভাবে ফুলে যেতে পারে।

২) কোনও কারণে শরীরে কর্টিসলের পরিমাণ বেড়ে গেলেও এমন ভাবে মুখ ফুলে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘কুশিং সিনড্রম’ বলা হয়।

৩) এ ছাড়া থাইরয়েড গ্রন্থিটি সঠিক ভাবে কাজ না করলেও মুখমণ্ডল চাঁদের মতো গোলাকার ধারণ করতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement