Pregnancy Care

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চুলে রং করা কি খারাপ? কী বলছে গবেষণা?

কৃত্রিম রঙে রাসায়নিকের ব্যবহার বেশি। তাই সেখান থেকে হবু মায়েদের আর কিছু না হোক, অ্যালার্জি তো হতেই পারে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৬
ইদানীং হবু মায়েরাও নিজেদের পরিচর্যার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন।

ইদানীং হবু মায়েরাও নিজেদের পরিচর্যার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। ছবি- সংগৃহীত

হবু মায়েদের কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয়, সে বিষয়ে নানা জনের নানা মত। অনেকেই বলেন, এই সময়ে ইচ্ছা করলেই যেমন যা খুশি খাওয়া যায় না। তেমন বাইরের কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ইদানীং হবু মায়েরাও নিজেদের পরিচর্যার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত নিয়মিত সালোঁয় যাওয়া, ত্বক বা চুলের যত্ন নেওয়া সবই করে থাকেন। কিন্তু বাড়ির বড়দের নিয়ে বিধিনিষেধের শেষ নেই। বিশেষ করে রাসায়নিকযুক্ত যে কোনও জিনিসের ব্যবহার নিয়ে তাঁদের আপত্তি থাকে। তাঁরা মনে করেন, চুলে রং করলে নাকি গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে।

Advertisement

এই ধারণা বাস্তবে কি আদৌ যুক্তিযুক্ত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

এই ধরনের কৃত্রিম রঙে রাসায়নিকের ব্যবহার বেশি। তাই সেখান থেকে অ্যালার্জির মতো সমস্যা তো হতেই পারে। তার জন্য ওষুধও খেতে হতে পারে। এই ওষুধ থেকে যে গর্ভস্থ ভ্রূণের কোনও সমস্যা হবে না, তা হলফ করে বলা যায় না। তবে সকলের শরীর সমান নয়। সকলেই যে এমন অসুবিধা ভোগ করবেন, তেমনটা না-ও হতে পারে। যা-ই করুন না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

আমেরিকার ‘অর্গানাইজ়েশান অফ টেরাটোলজি ইনফরমেশন সার্ভিস’ (ওটিস)-র বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চুলে রং করা নিরাপদ। কারণ, এই রং মাথার ত্বক পুরোপুরি শোষণ করে না বা রক্তেও মেশে না। তাই প্রজননের ক্ষেত্রে খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

আবার, উত্তর ক্যারোলাইনার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এই সময়ে মহিলারা চুলে রাসায়নিক নির্ভর রং ব্যবহার করলে ‘নিউরোব্লাসটোমা’ বা স্নায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।

আরও পড়ুন
Advertisement