Intermittent Fasting

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করছেন রোগা হবেন বলে? একইসঙ্গে ঝুঁকি কমছে কোন কঠিন রোগের?

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যে শুধু রোগা হতে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, এই ধরনের ডায়েট করলে ঝুঁকি কমে একটি জটিল রোগেরও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৩ ১৩:১৬
Symbolic Image.

ডায়েট করেই কমবে কঠিন রোগের ঝুঁকি। ছবি:সংগৃহীত।

ওজন ঝরানোর অন্যতম জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হল ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। অনেকেই ওজন ঝরাতে ভরসা রাখেন এই ধরনের ডায়েটের উপর। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যদি ঠিক ভাবে করা যায়, তা হলে ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যে শুধু রোগা হতে সাহায্য করে, তা কিন্তু নয়। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকিও কমায়।

Advertisement

স্মৃতিশক্তি লোপ, ভাবনাচিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো কিছু সমস্যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালঝাইমার্স বলে। বিশ্বজুড়েই ক্রমশ বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। এখনও পর্যন্ত অ্যালঝাইমার্স ঠেকানোর কোনও পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে নতুন এই গবেষণা অবশ্য খানিক আশার আলো দেখাচ্ছে।

‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’-এর ক্ষেত্রে খাবারের ধরন নিয়ে তেমন কড়া বিধি-নিষেধ থাকে না। তাই তরুণ প্রজন্ম এই ডায়েটের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এই ডায়েটে দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই শরীরের প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে নিতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে কাটাতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, শরীর যদি এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ওজন ঝরার পাশাপাশি অ্যালঝাইমার্সের মস্তিষ্কজনিত রোগের আশঙ্কাও কমে যাবে।

অ্যালঝাইমার্স রোগের উৎস মস্তিষ্ক হলেও, এই রোগ ঠেকাতে দেহঘড়ি মেনে চলতে হবে। বিপাকহার, শক্তি, ঘুমের স্বাভাবিক চক্র, তা নির্ভর করে এই ঘড়ির উপর। এই ঘড়ি যদি ঠিক না থাকে, সে ক্ষেত্রে ওজন তো বা়ড়েই, একই সঙ্গে প্রভাব পড়ে স্নায়ুর উপরেও। দেহঘড়ির সময় মেনে যদি খাবার তালিকা প্রস্তুত করা যায়, সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলেই যে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি এড়ানো যাবে, তা জোর দিয়ে এখনই বলতে চাইছেন না গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছে, গবেষণাটি হয়েছে ইঁদুরের উপরে। কিন্তু যত ক্ষণ না মানুষের উপর গবেষণাটি করা হচ্ছে, তত ক্ষণ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছেন না।

আরও পড়ুন
Advertisement