যশ দাশগুপ্ত
গত রবিবার মুক্তি পেয়েছে যশ দাশগুপ্ত এবং মধুমিতা সরকার অভিনীত গানের ভিডিয়ো। তিন দিনেই ২০ লক্ষ মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখে ফেলেছেন। শুধু তা-ই নয়, ইউটিউবের ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে তানভির ইভানের গাওয়া ‘ও মন রে’। ভিডিয়োর সাফল্যে উত্তেজিত ‘যশমিতা’।
রবিবার ‘শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস’ প্রযোজিত সেই ভিডিয়োর সাংবাদিক সম্মেলনে আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি হলেন যশ এবং মধুমিতা। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকে যশমিতার জুটি নিয়ে মাতামাতি ছিল দর্শকের। সেই জুটিই পাঁচ বছর বাদে আবার পর্দায়। শোনা গিয়েছিল, তাঁদের দু'জনের সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। সেই প্রশ্নের জবাবে মধুমিতা এবং যশ, দু’জনেই জানালেন, কোনও দিনও তাঁদের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। কিন্তু এই পাঁচ বছরে একাধিক বার একসঙ্গে কাজ করার কথা উঠলেও তা বাস্তব রূপ নেয়নি। আগামীতে ভাল চিত্রনাট্য পেলে অবশ্যই কাজ করবেন তাঁরা। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন দু’জনেই।
নুসরতকে নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি যশ। এই মুহূর্তে তিনি নুসরত-প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চান না। কিন্তু নেটমাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ এবং আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হলেন যশ। তাঁর বক্তব্য, সমালোচনার পরিপন্থী নন তিনি। কিন্তু মাঝে মধ্যেই সমালোচনা তার সীমা পেরিয়ে আক্রমণে পরিণত হয়, সেই বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ যশ। তাঁর কথায়, ‘‘যত ক্ষণ পর্যন্ত ঠাট্টা, মশকরা হিসেবে ট্রোল করা হয়, আমাদেরও ভাল লাগে। এমনকি টলিউডের শিল্পীদের মধ্যে এ রকম বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, সেখানে হাসাহাসি হয় এই সব নিয়ে। কিন্তু নেটমাধ্যমের পিছনে লুকিয়ে মানুষের ব্যাপারে কুৎসা রটানোর প্রবণতাকে মেনে নেওয়া যায় না। তবে যাঁরা ট্রোল করেন, তাঁরাও যাকে তাকে ট্রোল করেন না। সেই জায়গায় পৌঁছতে হবে ট্রোলড হওয়ার জন্য।’’ মধুমিতা সেই বক্তব্যে সায় দিয়ে বললেন, ‘‘যদি আমাকে নিয়ে কথাই না হয়, তা হলে মনে প্রশ্ন জাগবে, কেন কথা হচ্ছে না, কী হল, ইত্যাদি। কিন্তু অপমানজনক কিছু বললে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।’’ যদিও মধুমিতা মনে করেন, আক্রমণের জবাব দেওয়া উচিত নয়। ছোট পোশাক নিয়ে কুমন্তব্য করলে তিনি আরও বেশি করে ছোট পোশাক পরে শ্যুট করবেন বলে জানালেন।
পুরুষদের তুলনায় মহিলারা কি কটাক্ষের শিকার বেশি হন? এই প্রশ্নের উত্তরে যশ বললেন, ‘‘কারও ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ করা উচিত নয়। তা সে মহিলাই হোন বা পুরুষ। তবে আমি মনে করি, নেটমাধ্যম কিন্তু আসলে মহিলাদেরই প্ল্যাটফর্ম। অনেকেই বলেন, টেলিভিশনও মহিলাদের প্ল্যাটফর্ম।’’ যশ মনে করেন, নেটমাধ্যমে অনুগামীর সংখ্যার নিরিখে পুরুষদের থেকে মহিলারাই এগিয়ে। এক জন পুরুষ হিসেবে যশও অনেক মহিলাকে ইনস্টাগ্রামে ‘ফলো’ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রকাশ্যেই বলছি, সকাল বেলা উঠে ইনস্টাগ্রাম খুলে সুন্দর সুন্দর মুখ দেখতে ভাল লাগে আমার। মহিলারা সাধারণত খুবই সুন্দর।’’ ফলে, যাঁর অনুগামীর সংখ্যা বেশি, তাঁকে নিয়ে কথাও বেশি হবে বলে মনে করেন যশ।