ইয়ামি গৌতম ও আদিত্য ধর। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ইয়ামি গৌতম। কানাঘুষো আগেই ছিল। সেই গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছেন ইয়ামি এবং তাঁর স্বামী পরিচালক আদিত্য ধর। প্রথমে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানাননি। আড়ালেই রেখেছিলেন সুখবর। তবে ‘আর্টিক্ল ৩৭০’-এর ট্রেলার লঞ্চে এসে জানিয়ে দেন পুরোটা। এ বছরই ইয়ামি এবং আদিত্যের ঘরে আসবে নতুন অতিথি। ভাবী সন্তানের আসার অপেক্ষায় হবু বাবা-মা। ‘আর্টিক্ল ৩৭০’-এর শুটিং চলাকালীন ইয়ামি জানতে পারেন যে, তিনি মা হতে চলেছেন। এ দিন ছবির প্রথম ঝলক প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শুটিং করার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা গোটা ‘থিসিস পেপার’ লেখা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ইয়ামি। ইয়ামির মতে, প্রথম যা কিছু, তা সব সময়ই ভীষণ কঠিন হয়। সন্তান হোক কিংবা সিনেমা। এ প্রসঙ্গে ইয়ামি বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শুটিং করাটা আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আর আমি সেই চ্যালেঞ্জ জিতেছি শুধুমাত্র আমার স্বামী আদিত্যের জন্য। ও পাশে না থাকলে, কী হত, সত্যিই আমি জানি না।’’
‘আর্টিক্ল ৩৭০’ নিখাদ প্রেমের ছবি নয়। মানসিক এবং একই সঙ্গে শারীরিক ভাবেও ফিট থাকা জরুরি ছিল এই সিনেমার শুটিংয়ে। ইয়ামি যখন জানতে পারেন যে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা, তখন তাঁর মাথায় একটা চিন্তাই ঘুরছিল, শুটিং করবেন কী ভাবে! পর্দায় নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য যতটা ভয়-ভীতিহীন ভাবে কাজ করতে হবে, এই সময় ততটা তিনি করতে পারবেন না। সদা সচেতন এবং সতর্ক থেকে সমস্ত কিছু করতে হবে। তবে সচেতন থেকেই নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে শুটিং করতে পেরেছেন তিনি, তার পুরো কৃতিত্ব ইয়ামি দিয়েছেন চিকিৎসকদের। ইয়ামির কথায়, ‘‘চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই অ্যাকশন এবং স্টান্ট দৃশ্যের শুটিং করেছি। আমি কিন্তু একা অভিনয় করিনি। সঙ্গে আমার সন্তানও ছিল। আমার সন্তানও এই ছবির একটা অংশ। যা করেছি আমরা দু’জন মিলেই করেছি। এ ক্ষেত্রে মা আমার অনুপ্রেরণা। আমি দেখেছি কী ভাবে সব কিছু সামলে মা নিজের কাজ করতেন।’’