টলিপাড়া কি কর্মবিরতির পথে? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সোমবার টলিউডের পরিচালকেরা কি কাজে যোগ দেবেন না? নাকি, বদলে যেতে পারে তাঁদের সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন।
পরিচালকদের একান্ত বার্তালাপের কিছু অংশ আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে এসেছে। সেই বার্তালাপ অনুযায়ী, “শনিবার, ২৭ জুলাই রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একটি বাংলা ছবির শুটিং টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে ছিল। ফেডারেশনের আওতাভুক্ত কলাকুশলীরা সেই শুটিংয়ে উপস্থিত হননি। ফলত শুটিং করাই যায়নি। ওখানে উপস্থিত পরিচালক, অভিনয়শিল্পী সকলে চূড়ান্ত অপমানিত হন।”
জানা গিয়েছে এ প্রসঙ্গে অগ্রজ পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির হয়েছে, কলাকুশলীরা রাহুলকে নির্দিষ্ট ছবির পরিচালক হিসেবে মেনে না নিলে, তাঁর সঙ্গে শুটিং করতে রাজি না হলে পরিচালকেরা ২৯ জুলাই অর্থাৎ সোমবার থেকে অসহযোগিতায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন। মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান থেকে তাঁরা নড়বেন না।
এ বিষয়ে বার্তালাপে যুক্তি দেখানো হয়েছে, “আমরা মনে করি, ফেডারেশন একটি ইন্ডাস্ট্রির একচ্ছত্র নিয়ামক সংস্থা হতে পারে না। ভুলভ্রান্তি, সমস্যা যাই হয়ে থাক, তার সমাধান না করে কাউকে জোর করে কর্মবিরতি নিতে বাধ্য করা অসাংবিধানিক। বিশেষত, ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমাদের ডিরেক্টর্স গিল্ড রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর আরোপিত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেও যে ভাবে বাকি গিল্ডের কলাকুশলীরা অসহযোগিতার পথে হেঁটেছেন তা শুধু রাহুলের জন্য নয়, আমাদের প্রত্যেক পরিচালকের জন্য অপমানজনক এবং ক্ষতিকারক। আমাদের এই সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ আগামীতে যদি মাধ্যম নির্বিশেষে কোনও পরিচালক কোনও রকম সমস্যার মুখে পড়েন, তার পাশে সমস্ত পরিচালকরা দাঁড়াবেন, সেই অঙ্গীকারও আমরা করছি।”
ইতিমধ্যেই এই বার্তার প্রেক্ষিতে পরিচালকদের সই সংগ্রহ চলছে। সম্মতি জানিয়ে সই করেছেন, রাজ চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, দেবালয় ভট্টচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।