‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালের কলাকুশলী (বাঁ দিকে)। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক।
শুরু হয়েছিল চমক দিয়ে। বহু দিন পরে পর্দায় ফিরেছিলেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালের শুরুর দিনগুলো মসৃণ হলেও তার পর তৈরি হয়েছিল বিস্তর বিতর্ক। দিনে দিনে যে দিকে মোড় নিয়েছিল গল্প তা একদমই পছন্দ হয়নি রূপার। সিরিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি, তার ফলে অনেক জলঘোলাও হয়েছিল। সিরিয়ালে বীথি মিত্রের চরিত্রে তাঁর পরিবর্তে দেখা যায় অনুশ্রী দাসকে। এত পরিবর্তনের পরেও মাত্র কয়েক মাসের মাথায়ই বন্ধ হচ্ছে ‘মেয়েবেলা’ সিরিয়াল। রূপার সিরিয়াল থেকে সরে আসার কারণেই কি এত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্ত নিল চ্যানেল?
ছ’মাস যেতে না যেতে ‘মেয়েবেলা’ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে মনঃক্ষুণ্ণ পরিচালক সুমন দাস। আক্ষেপ করে তিনি ফেসবুকে লেখেন, “অনেক দিন পরে একটা মনের মতো শো পরিচালনা করে ভাল লাগল। কিন্তু এটা এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে আশা করিনি। যাই হোক ভাল জিনিস কম হলেই ভাল, তবেই সেটা মনে থেকে যায়।” শেষ এক মাস ‘বীথি’ চরিত্রে দর্শক দেখছেন অনুশ্রীকে। ধীরে ধীরে চরিত্রটি মোড় নিয়েছে ইতিবাচক দিকে। এ দিকে রূপার অভিযোগ ছিল, প্রেক্ষাপটে গল্পটি শুরু হয়েছিল তা মোড় নিয়েছে নেতিবাচক দিকে, যা কখনও কাম্য ছিল না। তাই তিনি সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রূপার এই সিদ্ধান্তের এক মাস ঘুরতে না ঘুরতে চ্যানেলের এই সিদ্ধান্ত। তা শুনে কী বললেন রূপা? আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন, “আমার এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। যেটা ঠিক মনে হয়েছিল, সেটা করেছি। বাকি আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কি না সেই উত্তর দেবেন দর্শক।” অন্য দিকে অনুশ্রীর গলায় অন্য সুর। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “আমি বীথি চরিত্রে অভিনয় শুরুর পরেই যে সিরিয়ালটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তেমনটা না। আমাদের শুটিং শেষ হয়েছে। সম্প্রচার এখনও চলবে বেশ কিছু দিন। সেটাও তো পজ়িটিভ দিকই।”
তবে আগামী দিনে আবারও পর্দায় রূপাকে দেখার অপেক্ষায় দর্শক। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর নির্ণয় করতে সময় লাগে। ‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সময় নিয়েছিলেন পাঁচ থেকে ছ’মাস। পরবর্তী কালেও যদি কাজ করেন তা হলে সময় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন।