Vivek Agnihotri

‘কর্ণ জোহরের ছবি করুন গিয়ে’! প্রিয়ঙ্কার বক্তব্যে কটাক্ষ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর

সদ্য সাংসদ পদ হারিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভাইয়ের প্রতি ‘অবিচার’-এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য শুনে খোঁচা বিবেক অগ্নিহোত্রীর।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৭:৩৬
Vivek Agnihotri takes a dig at Priyanka Gandhi’s speech after disqualification of Rahul Gandhi as MP.

প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর বক্তব্যে টুইট-খোঁচা বিবেক অগ্নিহোত্রীর। ফাইল চিত্র।

মোদী পদবি নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্য’-এর জের। ২০১৯ সালের এক মামলার ভিত্তিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের কারাদণ্ডের আদেশ গুজরাতের সুরতের আদালতের। আদালতের ওই আদেশের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার খারিজ হয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ। ভাইয়ের প্রতি ‘অবিচার’ হয়েছে। এই দাবি তুলে রবিবার দিল্লির রাজঘাটে ‘সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ’-র জনসভায় গর্জে উঠলেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। আদালতের ওই পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব হন প্রিয়ঙ্কা।প্রিয়ঙ্কার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজমাধ্যমে খোঁচা বলিউড পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর।

Advertisement

রাজঘাটে ‘সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ’ জনসভায় প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমার পরিবার রক্ত দিয়েছে। এই দেশে গণতন্ত্র বাঁচাতে আমার পরিবার সব কিছু করতে প্রস্তুত।’’ প্রিয়ঙ্কার বক্তব্যে একাধিক বার ‘পরিবার’-এর উল্লেখকেই কটাক্ষ করেছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্‌’ পরিচালক। সমাজমাধ্যমের পাতায় বিবেক লেখেন, ‘‘পরিবার... পরিবার... পরিবার! করেছেনটা কী আপনারা! পরিবারের সঙ্গে যখন এতই নকল দরদ, তা হলে গান্ধীরা কর্ণ জোহরের সিনেমায় গিয়ে অভিনয় করলেই পারেন! অন্তত পরিবারতন্ত্রটা বজায় থাকবে!’’ বিবেকের ধারণা, গান্ধীরা কর্ণ জোহরের ছবিতে অভিনয় করলে কর্ণ জোহরকে নিয়েই ডুববেন। উল্লেখ্য, বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে একাধিক বার সমালোচনার মুখে পড়েছেন কর্ণ জোহর। বিবেক অগ্নিহোত্রীর টুইটে স্পষ্ট প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর প্রতি বিদ্রুপের সুর।

রাজঘাটে ‘সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ’ জনসভায় মোদীকে নিশানা করে বক্তব্য রাখেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “সংসদে আমার শহিদ বাবার নামে কুৎসা করা হয়েছে। মাকে অপমান করা হয়। ভাইকে মির জাফর আখ্যা দেওয়া হয়েছে। আপনার দলের এক মুখ্যমন্ত্রী তো আবার বলেছিলেন, রাহুল তো জানেনই না, ওঁর বাবা কে! তার পরেও সেই সব নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।” প্রিয়ঙ্কার প্রশ্ন, এত কিছুর পরেও কেন তাঁদের অপসারিত করা হয়নি? কেন তাঁদের জেলে পাঠানো হয়নি? প্রিয়ঙ্কার দাবি, “পরিবার নিয়ে বার বার অপমানজনক কথা বলার পরেও আমরা চুপ করে থেকেছি। কিন্তু আর নয়।”

আরও পড়ুন
Advertisement