Vijay Deverakonda

দর্শকের গালিগালাজে নয়, প্রেক্ষাগৃহে ‘লাইগার’ দেখে নিজেই বিরক্ত নায়ক বিজয়

প্রেক্ষাগৃহে বসে নিজের ছবি দেখে কেঁদেকেটে একশা বিজয়। এত খারাপ হবে চূড়ান্ত ফলাফল, তিনি ভাবতেই পারেননি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ১৯:৩৭
‘লাইগার’ দেখে নিজেই কেঁদে ফেললেন বিজয়।

‘লাইগার’ দেখে নিজেই কেঁদে ফেললেন বিজয়।

‘লাইগার’ নিয়ে এত নেতিবাচক চর্চার মাঝে এ বার চমকে দিলেন ছবির নায়ক। এ ছবি শুধু যে দর্শকদের ভাল লাগেনি তা-ই নয়, হায়দরাবাদের এক প্রেক্ষাগৃহে ‘লাইগার’ দেখতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা নিজেই। না, ছবি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন, তা নয়। জানালেন, কাঁদছিলেন ছবির দৈন্য দেখেই। চূড়ান্ত ফলাফল এমন হবে তিনি নাকি ভাবেননি। বলিউডে নিজের প্রথম অভিনয় দেখে বিজয় নিজেই হতাশ।

২৫ অগস্ট মুক্তির পরই হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে ‘লাইগার’। প্রেক্ষাগৃহ ফাঁকা। যারা ছবিটি দেখেছেন তাঁদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে কান পাতা দায়। অনেকেই বলেছেন, নায়িকা অনন্যা পণ্ডের দুর্বল অভিনয় বেশি করে চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে দুর্বল চিত্রনাট্য এবং চিত্রগ্রহণ— সব মিলিয়েই বক্স অফিসে ধরাশায়ী পুরী জগন্নাথ পরিচালিত ‘লাইগার’।

Advertisement

যদিও বলিউডে তৈরি, দক্ষিণী তারকার উপস্থিতি— সব মিলিয়ে সর্বভারতীয় ছবিটি থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল মানুষের। দক্ষিণী তারকা বিজয়ও বলিউডে আত্মপ্রকাশ করলেন। তবে কোটি দর্শকের হৃদয় ভেঙেছেন নায়িকা অনন্যা পণ্ডে। ছবি ব্যর্থ হওয়ার পিছনে চিত্রনাট্যের দৈন্য যত না, দর্শক তার চেয়েও বেশি দায়ী করছেন অনন্যাকে। বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখে পয়সা ফেরত চাইলেন ক্ষুব্ধ দর্শক। তাঁদের দাবি, অনন্যাকে এ ছবিতে নেওয়া উচিত হয়নি। অভিনয়টা তিনি একেবারেই করতে পারেননি। এত দিন অনন্যার নিন্দায় ভেসে যাচ্ছিল লাইগার-সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট। এ বার নিজের ছবি দেখে কান্নাকাটি করে হাসির পাত্র হয়ে উঠলেন বিজয়ও।

বলিউডের শেষ কয়েকটি ব্যর্থ ছবির সঙ্গে যদি ‘লাইগার’-এর তুলনা করা যায়, তা হলে দেখা যাবে এ ছবি বক্স অফিসের আয়ের দিক থেকেও তলানিতে। ‘লাল সিংহ চড্ডা’ এবং ‘রক্ষা বন্ধন’-এর প্রথম দু’দিনের আয় যেখানে ছয় থেকে ন’কোটি টাকা ছিল, সেখানে ‘লাইগার’ সাড়ে চার কোটিও পেরোতে পারেনি।আইএমডিবিতেও ‘লাইগার’-এর রেটিং দেখলেও চমকে উঠতে হয়। ১০ এর মধ্যে ১.৭! যেখানে আমির খানের ‘লাল সিংহ চড্ডা’ ৫, অক্ষয় কুমারের ‘রক্ষা বন্ধন’ ৪.৬, তাপসী পান্নুর ‘দোবারা’ ২.৯ এবং রণবীর কপূরের ‘শামশেরা’ ৪.৯ রেটিং পেয়েছে। এটি আইএমডিবিতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কম রেটিং পাওয়া ভারতীয় ছবি। মাত্র ১৬,৫৫১ জন দর্শক ভোট দিয়েছেন এই ছবিকে।

আরও পড়ুন
Advertisement