ভিকি-অঙ্কিতা। ছবি: সংগৃহীত।
‘বিগ বস্ ১৭’-এর ঘরে স্ত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডের স্বামীর পরিচয়ে ঢোকেন ভিকি জৈন। প্রায় ১০০ দিন ঘরের ভিতরে কাটিয়েছেন, পেয়েছেন ‘মাস্টার মাইন্ড’-এর তকমা। কিন্তু ভিকির যেন তীরে এসে তরী ডুবল। ফাইনালের একবারে মুখে এসে ছিঁটকে গেলেন অঙ্কিতার স্বামী। সেরা পাঁচে জায়গা করে নিলেন অভিনেত্রী। তবে বাদ পড়লেন অঙ্কিতার স্বামী। ভিকি বহিষ্কৃত শুনেই মুখে হাসি, তার পরই ডুকরে কেঁদে ওঠেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর হাবভাব দেখে নেটাগরিকদের একাংশ বললেন, ‘‘একেবারে নকল মানুষ।’’
নিত্য দিন অশান্তি তাঁদের। যার আঁচ এসে পড়ে ভিকি-অঙ্কিতার পরিবারে। দিন কয়েক আগেই স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানান অভিনেত্রী। ঝগড়া থেকে শুরু করে একে অপরের প্রতি কটূক্তি করা— কোনও কিছুই বাদ রাখেননি তাঁরা। বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাঁদের দাম্পত্য। যত বার অঙ্কিতাকে দুষেছেন ভিকি, পাল্টা তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি অঙ্কিতা লোখান্ডের স্বামী। স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিতি পেয়ে যে ভিকিও খুব সন্তুষ্ট তেমন নয়। তবে শোয়ের শেষ সপ্তাহে এসে অবশ্য অঙ্কিতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। তার পর বেরিয়ে যান বিগ বস্-এর ঘর থেকে। তাতেই প্রায় হাপুস নয়নে কেঁদেই চলেছে অঙ্কিতা। যাওয়ার সময় স্ত্রী কপালে চুমু দেন ভিকি অন্য সদ্যদের স্ত্রী খেয়াল রাখতে অনুরোধ করেন। এ দিকে অঙ্কিতা আপন মনে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘‘আমার থেকেও ভিকি অনেক বেশি যোগ্য। তুমি দারুণ খেলেছ। কোনও প্ল্যাটফর্ম থেকে না এসেও এখানে নিজের ছাপ তৈরি করেছ। আমার কাছে তুমি বিজয়ী। আমি ভিকি জৈনের স্ত্রী হতে পেরে গর্বিত।’’
স্বামী শো থেকে বাদ পড়তেই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অঙ্কিতা। তবে গোটাটাই নাটক বলে ঠেকেছে নেটাগরিকদের একাংশের চোখে। একজন লেখেন, ‘‘আমি আর অঙ্কিতাকে সহ্য করতে পারি না, উনি মানুষটা সত্যিই নকল।’’ অন্য আর এক জনের মতে, ‘‘উনি সত্যই নকল।’’ কেউ লিখেছেন, ‘‘আমি ভাবছি এই শোয়ের পর ভাবছি এই দু’জন মানুষ একসঙ্গে থাকবেন কী করে!’’