Basanti Chatterjee

পেসমেকার, ক্যানসার নিয়েও নিয়মিত শুটিংয়ে, নিজের লড়াই নিয়ে জানালেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়

বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও কাজ ছাড়া যাবে না। তাই নিয়মিত দমদম থেকে সোনারপুর যাতায়াত করেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০৯
Veteran actress Basanti Chatterjee comes to shoot floor despite having multiple illness

অসুস্থতা নিয়েও নিয়মিত শুটিং করছেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন পেটের ক্যানসারে। একটি কিডনি অচল। হাজার হাজার টাকার ওষুধ খান প্রতি মাসে। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও কাজ ছাড়া যাবে না। তাই নিয়মিত দমদম থেকে সোনারপুর যাতায়াত করেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি।

Advertisement

সেই ধারাবাহিকের সেটেই আনন্দবাজার অনলাইনকে বাসন্তী জানালেন, অভিনয় তাঁর কাছে নেশার মতো। তাঁর কথায়, “বিকেলে চা খাওয়া যেমন একটা নেশা, এটাও একটা নেশা। সকাল দশটা বাজলেই মনে হয় শুটিংয়ে যাই। শুটিং না থাকলে ভাবি, কী করব? শুটিং থাকলে মেজাজ ভাল থাকে।”

প্রতি মাসে কুড়ি হাজার টাকার ওষুধ খান বাসন্তী। সঙ্গে আসে মোট ৪৫০০ টাকার ইনজেকশন। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেছেন, “ভাল থাকার জন্য তো ওষুধ খেতেই হয়। তবে তার সঙ্গে শুটিংয়ে এলে মনটাও ভাল থাকে। এখানে সকলেই খুব খেয়াল রাখে আমার। এ দিকে যেও না, ও দিকে যেও না— সব সময় বলতেই থাকে ওরা।”

শরীরে অজস্র অসুস্থতা বাসা বেঁধে রয়েছে। অভিনেত্রী বলেন, “ক্যানসার আছে। বুকে পেসমেকার বসানো। কিডনিতে সমস্যা। তাই শারীরিক সমস্যা তো আছেই। ওষুধ খাই বলেই ভাল আছি। ওষুধ যে দিন খাব না, সমস্যা হবে।” শারীরিক অসুস্থতার জন্য খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর রাখতে হয়। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, “অনেক বুঝেই খেতে হয়। আমার ডাল খাওয়া বারণ, দানা জাতীয় খাবার খাই না। তেল মশলা জাতীয় খাবার তো চলেই না। এক আধ দিন ভাজাভুজি খেলে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ খেতে হয়।”

তবে বাড়ির পরিচারিকার হাতে চিকেন স্টু সবচেয়ে ভাল খান বাসন্তী। অভিনেত্রী বলেন, “বাড়িতে কোনও কাজই প্রায় নিজে করতে পারি না। পরিচারিকার উপর নির্ভর করি। এক কাপ চা বানাতেও হাত কাঁপে। বাড়ির পরিচারিকা মেয়েটিই আমাকে সারিয়ে তুলেছে। অসুস্থ অবস্থায় শরীরে ‘বেড সোর’ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে আমাকে সারিয়ে তুলেছে। ও না থাকলে আমি নেই।”

চলতি বছরের মার্চ মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাসন্তী। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার পরে টলিপাড়ার অনেকেই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। এখনও কেউ কেউ নিয়মিত খোঁজ নেন তাঁর।

Advertisement
আরও পড়ুন