Fake Currency

জাল নোটে নিজের ছবি দেখে অনুপম খের নাকি খুশি! কী প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিনেতা?

মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর বদলে ওই ৫০০ টাকার নোটে এমন এক বিরলকেশ ব্যক্তির ছবি ছাপা রয়েছে যাঁর চোখে নেই বিখ্যাত গোল ফ্রেমের চশমাটি। আসলে যাঁর ছবি ছাপা হয়েছে তিনি অভিনেতা অনুপম খের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৪৯
Image of Anupam Kher

অভিনেতা অনুপম খেরের ছবি-সহ জাল নোট উদ্ধার হল গুজরাতে। ছবি: সংগৃহীত।

৫০০ টাকার নোটে এক কোটি ষাট লক্ষ টাকা। এসবিআই-এর সিল লাগানো বেশ কয়েকটি গোছা। কিন্তু একটু ভাল করে লক্ষ করলেই বোঝা যাবে, হুবহু স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার স্ট্যাম্পের মতো দেখতে হলেও ওই সিল আসলে ‘স্টার্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’র। এখানেই শেষ নয়, এর পর দেখতে হবে নোটগুলি। সেখানে আবার দেখা যাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বদলে লেখা রয়েছে ‘রিসোল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’। সব থেকে বড় চমক নোটে ছাপা ছবিতে। মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর বদলে ওই ৫০০ টাকার নোটে এমন এক বিরলকেশ ব্যক্তির ছবি ছাপা রয়েছে যাঁর চোখে নেই বিখ্যাত গোল ফ্রেমের চশমাটি। আসলে যাঁর ছবি ছাপা হয়েছে তিনি অভিনেতা অনুপম খের।

Advertisement

মেহুল ঠাক্কর নামে গুজরাতের এক সোনা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এমনই নকল নোট উদ্ধার করেছে আমদাবাদ পুলিশ। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সমাজমাধ্যমে এই ঘটনা সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাগ করেছেন অনুপম। হিন্দিতে তিনি লিখেছেন, “বোঝো কাণ্ড! ৫০০ টাকার নোটে গান্ধীজির ছবির জায়গায় আমার ছবি???? যখন যা খুশি ঘটতে পারে!!”

অভিনেতার এই পোস্টে মজার মজার মন্তব্য করে গিয়েছেন নেটাগরিকেরা। একজন লিখেছেন, “আজ তো আপনি খুব খুশি হয়েছেন নিশ্চয়ই। ‘টেকো’ হওয়ার কী দারুণ ফল পেলেন।’ আর এক নেটাগরিক লিখেছেন, “সাজুয্য আছে বটে, তবেই না ছবি বদলেছে।” এমনিতেই অনুপম শাসক-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তার উপর গুজরাতের সোনা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এই জাল নোট উদ্ধার হওয়ায় নেটাগরিকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবরঙ্গপুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই সোনা ব্যবসায়ীর দাবি, সম্প্রতি একটি সংগঠনের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ২,১০০ গ্রাম সোনা কেনার কথা বলা হয়। মেহুলের দুই কর্মী ওই সোনা নিয়ে তাঁদের কাছে গেলে টাকা দিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। কিন্তু সেখানে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। বাকি ৩০ লক্ষ টাকা পাশের একটি দোকান থেকে আনতে যাওয়ার নাম করে ওই সন্দেহভাজনেরা পালিয়ে যান। মেহুলের দাবি, সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা তাঁর কর্মচারীদের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলেন যেন টাকাগুলি হাতে না গোনা হয়, মেশিনে গোনা হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাঁর কর্মীরা টাকার প্যাকেট খুলে ফেলেন, তখনই জাল নোটের বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement