উরফিকে অপ্সরার বেশে সাজিয়ে তুলেছিলেন আবু জানি সন্দীপ। — ফাইল চিত্র।
এ যুগে যদি স্বর্গ থেকে নেমে আসতেন অপ্সরা! কেমন হত ব্যাপারটা? কল্পনাকে সত্যি করে তুললেন উরফি জাভেদ। তিনি থাকতে আর সাজ নিয়ে ভাবনা কী! লাল টুকটুকে চেরা স্কার্টের সঙ্গে শাড়ির আঁচলের মতো করে পরলেন ওড়না। তাতে অবশ্য ঢাকা পড়ল না স্তনযুগল। বক্ষদেশে ছিল অন্য চমক। স্বচ্ছ রঙেরই এক সূক্ষ্ম আবরণ ছিল উরফির ঊর্ধ্বাঙ্গে। তার উপর লাল রঙের নকশা তোলা স্তন বরাবর। সেটিই আলপনার মতো উঠে এসে লজ্জা নিবারণ করছে উরফির। নাভির অনেকটা নীচ থেকে শুরু হয়েছে নিমাঙ্গের পোশাক। সেই বেশেই রেড কার্পেটে হাঁটলেন মডেল-তারকা। সবাই বলে উঠলেন, “আরে এ যে হাল আমলের অপ্সরা!”
পোশাকশিল্পীর আয়োজিত সন্ধ্যার পার্টিতেই উপস্থিত ছিলেন উরফি। তাঁকে অপ্সরার বেশে সাজিয়ে তুলেছিলেন আবু জানি সন্দীপ। খানাপিনা, হইহইতে লেন্সবন্দি হলেন হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজ়ান খান থেকে শুরু করে প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের পুত্র বাবিল খানও। সুজানকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছেন উরফি। বাবিল আবার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন উরফির সাজের। তাতেই খুশি হয়ে মাথায় মিনে করা স্বর্ণমুকুট চাপিয়ে পোজ় দিয়ে নিলেন তারকা।
সত্যিই নিজেকে অপ্সরাই যে ভাবছিলেন তিনি! তবে উরফির জীবনেও নতুন পাওনা হল। কোনও পোশাকশিল্পীর বানানো পোশাক আগে কোনও দিন অঙ্গে তোলেননি তিনি। আনন্দের সঙ্গে বললেন, “আবু জানি আমায় এমন ভাবে সাজিয়েছেন যাতে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি। কোনও পোশাকশিল্পী আমায় পছন্দসই পোশাক দিতে পারেন না বলেই বরাবর নিজে বানিয়ে পোশাক পরি। এই প্রথম বার অন্যের তৈরি পোশাকে শক্তিশালী বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ।”