টোটা রায়চৌধুরী।
অতিমারির দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই টলিউডের একাধিক গোষ্ঠীর বিবাদ প্রকাশ্যে। কখনও ‘শ্যুট ফ্রম হোম’-এর মান্যতা নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে আর্টিস্ট ফোরাম-ফেডারেশন। কখনও গিল্ডের তরফ থেকে বিনা শ্রমে প্রযোজকদের অর্থসাহায্য না নেওয়ার জন্য হুমকিবার্তা পৌঁছে গিয়েছে কলাকুশলীদের কাছে। যার হাত ধরে সামনে চলে এসেছে প্রযোজক সংগঠন ‘ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসার্স’ এবং ফেডারেশনের কাজিয়াও। হুমকিবার্তার কথা ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস সরাসরি অস্বীকার করেছেন আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে। অন্য দিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কলাকুশলী স্বীকার করেছেন, হুমকিবার্তা পেয়েছেন তাঁরা। এমন চাপানউতরে যখন বিভ্রান্ত টেলিপাড়া, তখনই মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এই প্রথম মুখ খুললেন টোটা রায়চৌধুরী। নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে তিনি সমর্থন জানালেন প্রযোজক সংগঠনকে। পাশাপাশি তাঁর অনুরোধ, যাবতীয় সমস্যার দ্রুত মীমাংসা হোক।
কী বলছে টোটার দেওয়া বার্তা? গত কাল প্রযোজক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয় কলাকুশলীদের। এই বলে আশ্বস্ত করা হয়, সাহায্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই গত বছরের মতো কলাকুশলীদের বিনা শ্রমে পারিশ্রমিক দেবেন প্রযোজকেরা। এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ‘শ্যুট ফ্রম হোম’ রীতি চালু থাকবে না। সংগঠনের এই বার্তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন টোটা। বলেছেন, ‘টেকনিশিয়ান, প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা--- বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তাই আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে সেটা মানসিক পীড়া দেয়’। পাশাপাশি তাঁর অনুরোধ, ‘আশা করব, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন পরিবারের সদস্যরা এক সঙ্গে বসে অতি দ্রুত এর মীমাংসা করবেন। পশ্চিমবঙ্গ টেলিভিশন প্রযোজকদের তরফ থেকে আমার টেকনিশিয়ান ভাইদের আর বোনদের প্রতি একটি বার্তা’।
বরাবর সব অবস্থাতেই নীরব থাকার পক্ষপাতী স্টার জলসার শ্রীময়ী ধারাবাহিকের ‘রোহিত সেন’ ওরফে টোটা। এর আগেও বহু সমস্যা দেখা দিয়েছে টালিগঞ্জে। টোটা প্রকাশ্যে কখনও মুখ খোলেননি। এই প্রথম সেই রীতি নিজেই ভাঙলেন অভিনেতা। কেন? আনন্দবাজার ডিজিটাল ফোনে পায়নি তাঁকে। তবে তাঁর সামাজিক পাতায় ভাগ করে নেওয়া বার্তা বলছে, টেলিপাড়ার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বিগ্ন করেছে টোটাকে। তিনি নিজেও এখন ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। ফলে, কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছেন গোটা পরিস্থিতি। সেই জায়গা থেকেই কি তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হলেন?