টোটা রায়চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক।
এ বার পুজো তাঁরও। এ রকম যে একটা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, কমবেশি তিনিও জানেন। কিন্তু টোটা রায়চৌধুরী কি মুখ খোলার পাত্র? এ দিকে আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান জানিয়েছেন, এ বারের পুজোয় তিনি ‘চালচিত্র’ ছবিটি আনতে পারেন। ছবির পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্ত। থ্রিলার ঘরানার ছবিতে মুখ্য অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী। রয়েছেন শান্তনু মাহেশ্বরী, রাইমা সেন, বাংলাদেশের অভিনেতা জিয়ায়ুল ফারুক অপূর্ব, অনির্বাণ চক্রবর্তী, প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। আরও খবর, এই ছবিতে টোটা পুলিশ অফিসারের ভূমিকায়।
তা হলে পুজোর ছবির তালিকায় টোটাও? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন করেছিল অভিনেতাকে। ফোনের ও পারে হালকা হাসি। টোটার দাবি, তিনিও সে রকমই শুনছেন। অভিনেতার নিশ্চয়ই এর আগেও পুজোয় ছবি মুক্তি পেয়েছে? একটু ভেবে জবাব দিলেন, “আমাদের সময় পুজোয় ছবি মুক্তি পাওয়া নিয়ে এত মাতামাতি ছিল না। পয়লা বৈশাখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম সকলে। সেই অনুযায়ী বাংলা নতুন বছরে ছবি মুক্তি পেয়েছে। পুজোতেও নিশ্চয়ই পেয়েছে। এখনই মনে করতে পারছি না।” অবশ্য পুজোর তালিকায় নাম ওঠায় খোশমেজাজেই তিনি। রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পুলিশ অফিসার। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘বহুরূপী’তে আবীর চট্টোপাধ্যায় পুলিশ অফিসার ‘শ্রীমন্ত ঘোষাল’। ত্রিভুজের তিন নম্বর বাহু টোটা।
তিন পুলিশের টক্করে যে পুজো জমজমাট! কথা শেষ হতেই মতামত দিলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “এই জন্যই যতটা উৎফুল্ল হওয়ার কথা, ততটাও হতে পারছি না। বাংলার এ বছরের সমস্ত সেরা ছবি পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে। যে তিনটি ছবির কথা উঠল, সে তিনটি ছবি তো আছেই। তালিকায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও আছেন। ওঁর ‘টেক্কা’ যে সকলকে টেক্কা দেবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। থাকবে অরিন্দম শীলের ‘মিতিন মাসি’ও।” তাই দর্শক ভাগাভাগির প্রবল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন তিনি।