সুদীপা-অগ্নিদেব। ছবি: সংগৃহীত।
ভানু, বাঁটুল, গোলু—এরাই তাঁদের প্রাণ। ভানুকে অনেক দিন আগেই হারিয়েছে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। সুদীপা চট্টোপাধ্যায় এবং অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের দৌলতে তাঁদের সব পোষ্যদেরই চেনেন সবাই। ভানু চলে যাওয়ার পর ভান্টুকে বাড়িতে এনেছেন তাঁরা। অষ্টমীর রাতে পরিবারের আর এক প্রিয় সদস্যকে হারালেন সুদীপা এবং অগ্নিদেব। সাত বছর বয়স হয়েছিল বাঁটুলের। অষ্টমীর দিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। প্রিয় পোষ্যকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন অগ্নিদেব। এমনিতেই তিনি অসুস্থ। তার মধ্যে এই ঘটনায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন। এই পরিস্থিতি কী ভাবে সামলাচ্ছেন স্ত্রী সুদীপা? আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানালেন, খুবই চিন্তায় আছেন এই মুহূর্তে। খুব একটা ভাল সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে কিছুই ভাল লাগছে না তাঁরও।
সুদীপা বলেন, “অষ্টমীর দিন হাঁটতেও গিয়েছিল বাঁটুল। হঠাৎ কী হল? ওর ট্রেনার বলছে কোনও ভাবে গ্যাস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ধারণা নিশ্চয়ই অন্য কিছু হয়েছিল বাঁটুলের। কেউ সে ভাবে ধরতে পারেনি। এত মন খারাপ আমার নবমী থেকে একটুও সাজিনি। সব আলমারিতে তুলে রেখেছিলাম। অগ্নির সঙ্গে ওর ঘনিষ্ঠতা বেশি ছিল। ফলে ওর আরও মন খারাপ। ঠিক যেমনটা ভানুর সময় আমার হয়েছিল। চিন্তা হচ্ছে সোমবার বাইপাস সার্জারি হবে ওর। এখন ওর মন ভাল নেই। পরিবারকে সামলাতে গিয়ে নিজের মন খারাপকে গুরুত্ব দিতে পারছি না।” ভানু চলে যাওয়ার পর ভান্টু এসেছে পরিবারে। এ বারেও কি তেমনই কিছু পরিকল্পনা করছেন তাঁরা? সুদীপা জানিয়েছেন, এ বার আর তেমনটা নয়। আপাতত ভান্টু এবং গোলুকে নিয়েই থাকতে চান তাঁরা।