পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়ের সঙ্গে সইফ আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
টলিপাড়ার খ্যাতনামী পোশাকশিল্পী তিনি। বাংলা সিনেমা থেকে সিরিয়াল কিংবা গানের জগতের তারকা, টলিপাড়ার ভরসা হয়ে উঠেছেন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়। তবে এ বার অভিষেকের ভাবনায় সেজে উঠবেন বলিউড তারকা সইফ আলি খান। শিল্পীর ভাবনা দেখে ভাল লেগেছে শর্মিলা ঠাকুরের পুত্রের। নিজেই ফোন করেন অভিষেককে। দীপাবলীতে সইফকে সাজানোর দায়িত্ব পেলেন তিনি। সদ্য করিনা ও সইফের বান্দ্রার বাড়িতে ঢুঁ মারলেন অভিষেক। কেমন ছিল পতৌডিদের অন্দরের অভিজ্ঞতা, আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়।
করিনা-সইফয়ের বাড়ির সাদাকালো বারন্দা অনেকেরই চেনা। কারণ, ওই বারান্দায় শরীরচর্চা করেন অভিনেত্রী। মাঝেমধ্যে দুই ছেলে তৈমুর ও জেহকে নিয়ে সময় কাটাতে দেখা যায় তাঁকে। এ বার দাবার ছক কাটা ওই পরিচিত বারান্দায় সইফ আলি খানের সঙ্গে ছবি দেন অভিষেক। সইফ-করিনা বাড়িতে যাচ্ছেন! প্রথমে একটু বুক দুরু দুরু ছিল বটে তাঁর। কিন্তু সইফই নাকি সবটা সহজে করে দেন। অভিষেকের কথায়, ‘‘হ্যাঁ প্রথমে যেমন হয় আর কি, একটু বুক দুরু দুরু। কিন্তু সইফ আলি খান এমন ভদ্র সজ্জন মানুষ। এত মাটির মানুষ যে, এক মুহূর্তের জন্য এটা মনে হতে দেননি, তিনি কত বড় তারকা। আমার মনে হয়, আর পাঁচটা ক্লায়েন্টের সঙ্গে যেমন সহজে মিশতে পারি, তাঁর সঙ্গেও তেমনই লেগেছে।’’ কিন্তু কী কারণে অভিষেকের তলব পড়ল পতৌডি পরিবারে? অভিষেক জানান, এ বছর সইফ দীপবলীতে তাঁর পোশাকেই সাজবেন। সইফের ইচ্ছে ছিল, এ বছর তাঁর দীপাবলী সাজে থাকুক বাঙালি ছোঁয়া। সে মতোই ভাবনাচিন্তা করে পুরনো সাবেকি ছোঁয়া রেখে অভিনেতার পোশাক তৈরি করেছেন। সইফ কি একাই সাজবেন অভিষেকের পোশাকে? না কি বেবোরও মনে ধরেছে তাঁকে! অভিষেকের কথায়, ‘‘না! এ বার শুধু সইফের জন্য বানালাম। ভবিষ্যতে কখনও নিশ্চয়ই করিনার সঙ্গে কাজ করতে পারব।’’ সইফরা যতটা নবাব, আবার মায়ের দিকে ততটাই বাঙালি। অতিথি আপ্যায়ন কেমন পাতৌ়ডিদের বাড়িতে। সইফদের জন্য কলকাতার মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁরাও আপ্যায়নে খামতি রাখেননি বলেই জানান কলকাতার এই খ্যাতনামী পোশাকশিল্পী। তবে এ বার দেখা হয়নি করিনার সঙ্গে। তবে সইফের সঙ্গে বাড়িতে ছিল দুই পুত্র তৈমুর ও জেহ।
তা হলে কি গুটিগুটি পায়ে বলিউডের দিকেই এগোনোর ইচ্ছা? অভিষেক বলেন, ‘‘৩ নভেম্বর আমার প্রথম বলিউডের ছবি ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’র মুক্তি। তার মধ্যে সইফের সঙ্গে এই কাজটা করলাম। ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। সময়টা ভাল যাচ্ছে।’’