কেন অপরাধবোধে ভোগেন প্রিয়ঙ্কা সরকার? —ফাইল চিত্র।
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ছবি ‘চিরদিনই তুমি যে আমার।’ টলিউড পেয়েছিল নতুন জুটি। প্রিয়ঙ্কা সরকার এবং রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কুড়িয়েছিল বিপুল জনপ্রিয়তাও। ছবির এত সাফল্যের পর প্রিয়ঙ্কা এবং রাহুলকে দেখা যায়নি বড় পর্দায়। বর্তমানে যদিও তাঁদের দু’জনের ঝুলিতে প্রচুর কাজ। রাহুল চুটিয়ে সিরিয়াল, সিনেমা, সিরিজ় —সব মাধ্যমেই অভিনয় করে চলেছেন। প্রিয়ঙ্কাও বড় পর্দায় একের পর এক কাজ করে চলেছেন। কিন্তু জানেন কি, ছবির এত সাফল্যের পরও কতটা মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
সেই কথাই প্রকাশ্যে বলে ফেললেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “মানুষ এখনও আমায় দেখলে বলেন চিরদিনই খুব ভাল লেগেছিল। আমার সেটা শুনে আনন্দ হওয়ার কথা। কিন্তু আমার দুঃখ হয়। ওই রকম সাফল্যের পর আমি যে ভাবে ইন্ডাস্ট্রি থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলাম। যাঁরা আমায় সুযোগ দিয়েছিলেন, মা-বাবা আমায় নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। পরিশ্রম করেছিলেন আমার জন্য। কিন্তু তাঁদের সব স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছিলাম। সেটা ভাবলে আমার এখন কষ্ট হয়। অপরাধবোধ কাজ করে। এখন হয়তো আমি অনের পরিণত ভাবে সব পরিস্থিতি সামলাই। এবং সেই ভাবে কাজ করি।”
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ সিনেমার পরই পর্দার প্রেমের গল্প বাস্তব জীবনেও গড়ায়। বিয়ে করেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। তার নাম সহজ। সন্তান জন্মের পর আলাদা হয়ে যান তাঁরা। প্রিয়ঙ্কা ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকেন। কিন্তু সহজের সঙ্গে তাঁর বাবারও বন্ধুর মতো সম্পর্ক। তিন জনে একসঙ্গে সময় কাটান তাঁরা। কিছু দিন আগে টলিপাড়ায় উঠেছিল নতুন গুঞ্জন। আবারও নাকি এক হয়েছেন রাহুল, প্রিয়ঙ্কা। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও কোনও ধরনের মন্তব্য করেননি তাঁরা।