৩৫ বছর পর আবার নতুন করে সংসার পাতলেন রণধীর এবং ববিতা। —ফাইল চিত্র।
তাঁদের জীবনটা যেন অনেকটা সিনেমার মতো। পর্দায় এমন গল্প আগেও দেখেছেন দর্শক। নায়ক নায়িকা আলাদা হয়ে গেলেন। বহু বছর পর আবারও মিল হল তাঁদের। কপূর পরিবারের সদস্যদের বাস্তব জীবনও যেন চিত্রনাট্যের মতো। ৩৫ বছর পর মিল হল রণধীর কপূর এবং ববিতা কপূরের। সত্তর দশকের সফল অভিনেতা রণধীর। ববিতাও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সে কালে। তবে বর্তমানে তাঁদের আরও একটি পরিচয় আছে। তাঁরা হলেন করিশ্মা কপূর এবং করিনা কপূর খানের বাবা-মা।
ববিতা এবং রণধীর যে সময় সংসার পেতেছিলেন তখন বিয়েকে মূলত একটা ধর্মানুষ্ঠান বলেই দেখা হত। তখন স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ, আলাদা হয়ে যাওয়া— এই বিষয়গুলি খুব একটা ভাল চোখে দেখা হত না। সেই সময় দাঁড়িয়ে ১৭ বছর সংসার করার পর আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। কিন্তু কখনও তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু একসঙ্গে থাকতেন না বহু বছর। করিশ্মা এবং করিনাকেও একা হাতে মানুষ করেন ববিতা। তাঁরা দু’জনেই বলিপাড়ার সফল অভিনেত্রী। করিনা দুই ছেলেকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন। করিশ্মার দুই ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে।
এত বছর আলাদা থাকার পর আবারও একসঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন ববিতা এবং রণধীর। তবে মায়ানগরীতে গুঞ্জন তাঁরা নাকি গত সাত মাস ধরেই একসঙ্গে রয়েছেন। তবে মা-বাবা আবার এক হওয়ায় খুশি দুই মেয়েই। কপূর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর এমনটাই।
আশির দশকের শেষ দিকে আরকে বাংলো থেকে বেরিয়ে আসেন ববিতা। তাঁরা আলাদা থাকলেও কপূর পরিবারের সব রকমের দায়িত্ব এবং কর্তব্য এত দিন পালন করে এসেছেন ববিতা। তাঁরা দু’জনেই আপাতত বান্দ্রার বাড়িতে নতুন ভাবে সংসার পেতেছেন।