‘ধারাভি ব্যাঙ্ক’ ওয়েব সিরিজ়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শোয়েব। ফাইল চিত্র।
হিন্দি ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন। নতুন ওয়েব সিরিজ়ের প্রস্তাব আসতেই থাকে। কিন্তু যখন জানতে পেরেছিলেন সিরিজ়ের দুই মুখ্য চরিত্রাভিনেতা সুনীল শেট্টি ও বিবেক ওবেরয়, তখন চমকে উঠেছিলেন শোয়েব কবীর। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে ‘ধারাভি ব্যাঙ্ক’। সিরিজ়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শোয়েব। মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে নাশকতার উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল ওয়েব সিরিজ ‘স্টেট অব সিজ: ২৬/১১’। এই সিরিজ়ে জঙ্গি আজমল কাসাবের চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে আসেন মুর্শিদাবাদের ছেলে শোয়েব। ‘ধারাভি ব্যাঙ্ক’ সিরিজ়ে তাঁর চরিত্রটি সম্পর্কে অভিনেতা বলছিলেন, ‘‘সমকামী চরিত্র। সুনীল শেট্টির ছোট ছেলের সঙ্গে কমল নামের এই চরিত্রটার একটা সম্পর্ক তৈরি হয় যা গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’’
এই সিরিজ়ে সুনীল বা বিবেকের সঙ্গে সরাসরি কোনও দৃশ্যে শোয়েব নেই। কিন্তু চিত্রনাট্য পড়ার সময় দু’জনের সঙ্গে তিন দিন সময় কেটেছিল শোয়েবের। শুটিং ফ্লোরেও ওঁদের কাছ থেকে দেখেছেন। কী রকম অভিজ্ঞতা? শোয়েব বললেন, ‘‘সুনীল স্যর সেই ভাবে কারও সঙ্গে কথাই বলেন না। সেই ভাবে হাসতেও দেখিনি। কাজ নিয়ে এতটাই সিরিয়াস। তবে ছোটদের ভুল হলে দেখিয়ে দেন।’’ এই প্রসঙ্গেই একটা উদাহরণ দিলেন শোয়েব। সে দিন সুনীলের শুটিংয়ের পরেই শোয়েবের দৃশ্য। অভিনেতা বলছিলেন, ‘‘সাধারণ এক জন মানুষের বসা এবং এক জন গ্যাংস্টারের বসার ভঙ্গির মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা ওঁকে দেখে শিখলাম।’’
অন্য দিকে, শোয়েব জানালেন বিবেক ওবেরয় নাকি ‘ওয়ান টেক’ অভিনেতা। শোয়েবের কথায়, ‘‘উনি প্রয়োজনে শটের আগে একশো বার পরিচালকের থেকে কী করতে হয় সেটা জেনে নেন। তার পর ঠিক এক টেকে ওকে শট! না দেখলে ভাবা যায় না।’’
বিবেকের সঙ্গে এখন সখ্য তৈরি হয়েছে শোয়েবের। বললেন, ‘‘আমাকে দেখলেই স্যর বলতেন, ‘এই যে কাসাব এসে গিয়েছে!’ আমি হেসে স্যরকে এটা না বলতে অনুরোধ করতাম।’’ কারণ একই চরিত্রের স্টিরিয়োটাইপ থেকে বেরোতে চাইছেন শোয়েব। বললেন, ‘‘উনি আমাকে বলেছিলেন যে ভয়ের কোনও কারণ নেই। এখন অভিনয়ের সুযোগ বেশি। তাই ধীরে ধীরে এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।’’ টলিউডের দর্শক অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ ছবিতে বংশী চন্দ্রগুপ্তর চরিত্রে শোয়েবকে দেখেছেন। হাতে রয়েছে ‘মির্জা’, ‘বাঘাযতীন’-এর মতো ছবি। মুম্বইতেও সুধীর মিশ্রর একটা ওয়েব সিরিজ়ের কথা চলছে। মুক্তির অপেক্ষায় একতা কপূরের এবং দেবালয় ভট্টাচার্যর সিরিজ়। তা হলে কি ধীরে ধীরে মুম্বইতেই স্থায়ী ঠিকানার পরিকল্পনা করছেন? শোয়েবের উত্তর, ‘‘বাংলার ছেলে বাংলা ছাড়তে পারব না। ঠিক সামলে নেব।’’