‘দাবাড়ু’ ছবিতে চিরঞ্জিতের লুক। ছবি: সংগৃহীত।
‘চ্যাম্প’ ছবিতে দেবের কোচের ভূমিকায় তাঁর অভিনয় এখনও দর্শক এখনও মনে রেখেছেন। বাংলার আরও একটি স্পোর্টস ফিল্মে কোচের ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। এই মুহূর্তে শহরে গ্র্যান্ডমাস্টার সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক ‘দাবাড়ু’-র শুটিং চলছে। পথিকৃৎ বসু পরিচালিত এই ছবিতে সূর্যশেখরের কোচের ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিরঞ্জিৎ।
বুধবার উত্তর কলকাতায় হেদুয়ার রাস্তায় কিছু দৃশ্যের শুটিং ছিল। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম রথীন্দ্র। শুটিংয়ের শেষে চিরঞ্জিৎ বললেন, ‘‘আসলে ছবিতে আমিই প্রথম ওর প্রতিভা আবিষ্কার করি। ওর দাদুকে তার পর ছেলেটিকে আমার কাছে নিয়ে আসতে বলি।’’ এই ছবিতে রাজি হওয়ার পিছনেও বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করলেন চিরঞ্জিৎ। অভিনেতার কথায়, ‘‘বাংলায় তো ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনও খেলাকে নিয়ে সেই ভাবে ছবি হয় না। তা ছাড়া চিত্রনাট্য পড়ে বুঝতে পারি গল্পটা খুবই আবেগপ্রবণ। ভাল অভিনেতারা রয়েছেন। দর্শকদের পছন্দ হবে।’’
ছবিতে সূর্যের আরও এক কোচের ভূমিকায় অভিনয় করছেন কৌশিক সেন। দুই কোচের সম্পর্ক কী রকম? না, এখনই বিষয়টা খোলসা করতে চাইলেন না চিরঞ্জিৎ। বললেন, ‘‘সূর্যর পাশাপাশি আমার চরিত্রটার মধ্যেও অনেকগুলো স্তর রয়েছে। গল্পে অনেক বাঁক রয়েছে। এখনই সেগুলো বলে দিলে ছবির ক্ষতি হবে।’’ তবে এই ধরনের একটা চরিত্র তিনি যে উপভোগ করছেন তা চিরঞ্জিতের বক্তব্যে ধরা পড়ে। চোখে লাল ফ্রেমের চশমা এবং গালে হালকা দাড়িতে তাঁর লুকটি মন্দ নয়। ছেলেবেলায় দাবা নিয়ে কতটা উৎসাহী ছিলেন চিরঞ্জিৎ? প্রশ্ন শুনেই হেসে বললেন, ‘‘খুব বেশি নয়। একটু আধটু খেলেছি। কিন্তু এই ছবির জন্য নতুন করে দাবার চাল এবং ব্যাকরণ, সবই শিখতে হয়েছে।’’
যে কোনও সফল ক্রীড়াবিদের নেপথ্যে কোচের ভূমিকাকে এই চরিত্রের মাধ্যমে সম্মান জানাতে চান চিরঞ্জিৎ। সূর্যশেখরের জার্নি তাঁর কাছের মানুষরা জানেন। স্পনসর জোগাড় করতে কোচকে কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয় সেই প্রসঙ্গটিও ছবিতে তুলে ধরা হবে বলে জানালেন তিনি। বললেন, ‘‘ছবিতে আমার মুখে একটা সংলাপই আছে যে বিদেশে খেলোয়াড়ের স্ট্রাগলের দিনে পাশে দাঁড়ায় সরকার। আমাদের দেশে খেলোয়াড় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর তার পর সরকার তার পাশে দাঁড়ায়!’’
হেদুয়া, টাউনহল-সহ আপাতত কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং সারছে ইউনিট। চিরঞ্জিতের অবশ্য আর একদিনের শুটিংই বাকি। ছবির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শঙ্কর চক্রবর্তী, অর্ঘ্য বসু রায় প্রমুখ। ‘দাবাড়ু’-র পরে বাংলা ছবিতে তথাকথিত প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকা খেলা নিয়েও ভবিষ্যতে ছবি তৈরি হবে বলেই আশাবাদী চিরঞ্জিৎ।