— প্রতীকী ছবি।
অনিশ্চয়তায় ভরা বিনোদনের দুনিয়া। এই দুনিয়ায় প্রতি শুক্রবার ভাগ্য বদলায় শিল্পীদের। কোনও এক শুক্রবার ছবিমুক্তির পরে তারকা তকমা পান সেই ছবির অভিনেতা বা অভিনেত্রী। আবার বক্স অফিস পরিসংখ্যানের ভিড়ে অনেক সময় হারিয়ে যান প্রতিশ্রুতিবান একাধিক শিল্পী। বিনোদন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে সেই জায়গা ধরে রাখা কম কঠিন কাজ নয়। দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম, সাফল্য-ব্যর্থতা ও হতাশার মধ্য গিয়ে পথ চলে অর্জন করতে হয় ‘স্টারডম’। আর যাঁরা তা করতে পারেন না, তাঁরা? তাঁদের দিন গুজরান হয় কী ভাবে?
সাধারণত বিনোদন জগতে কিছুটা নামযশ অর্জন করার পরে কোনও না কোনও ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন শিল্পীরা। কারও প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবসা, কারও আবার রেস্তরাঁর ব্যবসা। কেউ বিনিয়োগ করেন পরিবেশবান্ধব কিছু সংস্থায়, কারও বিনিয়োগ আবার নিত্যনতুন প্রযুক্তিতে। ছবি বক্স অফিসে ব্যবসা করুক বা না করুক, তাঁদের জীবনধারণ করায় যেন কোনও অসুবিধা না হয়। শেষ তিনটে ছবির ফ্লপের পরে সেই রাস্তাতেই হাঁটছেন দক্ষিণী তারকা প্রভাসও। ফ্লপের হ্যাটট্রিকের পরে বিদেশে বাড়ি ভাড়া দিয়ে টাকা তুলছেন তিনি।
ইটালিতে একটি বিলাসবহুল ভিলা রয়েছে প্রভাসের। পর্যটকদের সেই ভিলার একটি অংশ ভাড়া দেওয়া হয়। সেই ভাড়া থেকে মাসে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আয় করেন দক্ষিণী তারকা। ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’, ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’-এর মতো ছবিতে কাজ করে দর্শক ও অনুরাগীদের মন জয় করেছিলেন প্রভাস। তবে তার পরেই একের পর এক ছবি ফ্লপ। ‘রাধে শ্যাম’, ‘সাহো’ থেকে শুরু করে ‘আদিপুরুষ’— বক্স অফিসে দাগ কাটতে পারেনি একটি ছবিও। ফ্লপের হ্যাটট্রিকের পরে খরচ সামলাতেই কি এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণী তারকার? প্রশ্ন অনুরাগী মহলে।