Rudranil Ghosh

Rudranil: রাজ-শ্রীলেখা-অনির্বাণ-কাঞ্চন রুদ্রনীলের বন্ধু আছেন কি? যিশুর সঙ্গে কেন টিকল বন্ধুত্ব?

‘যিশু রাজনীতির ধারেপাশে নেই, তাই হয়তো ওর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব টিকে গেল।’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৪৩
রাজনীতিতে এসে ফাটল ধরেছে চলচ্চিত্র জগতের বন্ধুত্বে, স্বীকার করলেন রুদ্রনীল।

রাজনীতিতে এসে ফাটল ধরেছে চলচ্চিত্র জগতের বন্ধুত্বে, স্বীকার করলেন রুদ্রনীল।

রাজনীতি ফাটল ধরিয়েছে বন্ধুত্বে। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ সাক্ষাৎকারে এসে স্বীকার করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বিজেপি শিবিরে যোগদানের পরেই সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তার পরেও বন্ধুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি কর্মী। দাবি, অভিনয় এবং পরিচালনার দিক থেকে নিজেকে আরও ধারালো করেছেন ‘বনি’র পরিচালক। একই সঙ্গে শ্লেষাত্মক মন্তব্যও ছুঁড়েছেন, ‘‘বন্ধুত্বে যদি বিজেপি, সিপিএম নাক গলায় তা হলে তো বাজারে বেরিয়ে আলুওয়ালা বিজেপি কিনা সেটা আগে জানতে হবে। তিনি বিজেপি সমর্থক হলে তবেই তাঁর থেকে আলু কিনতে পারব!’’ এক সময়ে কাছের ছিলেন বন্ধু রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, শ্রীলেখা মিত্র। তাঁদের সঙ্গে কতটা বন্ধুত্ব আছে তাঁর? শ্রীলেখার কথা উঠতেই রুদ্রনীলের দাবি, গুণী শিল্পী হয়েও বাংলা ছবির দুনিয়া সঠিক ব্যবহার করতে পারল না অভিনেত্রীকে। বিষয়টি তাঁর চোখে পড়েছে। এবং যথেষ্ট খারাপও লাগে। ব্যতিক্রম, যিশু সেনগুপ্ত। তাঁর সঙ্গে রুদ্রনীলের বন্ধুত্ব আজও অমলিন!

যদিও অভিনেতার দাবি, শ্রীলেখার সঙ্গে খুব বেশি হৃদ্যতা তাঁর ছিল না। দেখা হলে উভয়েই সৌজন্য বিনিময় করতেন। সেই সৌজন্য আজও রয়ে গিয়েছে। এখনও দেখা হলে রুদ্রনীলের সঙ্গে ভাল ভাবেই কথা বলেন শ্রীলেখা। অনির্বাণ ভট্টাচার্যকেও এক বাক্যে ছাড়পত্র দিয়েছেন ‘ভিঞ্চিদা’। তাঁর মতে, তাঁকে যতটা পরিশ্রম করে পায়ের নীচের মাটি শক্ত করতে হয়েছে অনির্বাণকে ততটা পরিশ্রম করতে হয়নি। সঠিক সময়ে সঠিক পরিচালক, প্রযোজক তাঁকে সুযোগ করে দেওয়ায় এই প্রজন্মের অভিনেতার খাটনি অনেকটাই কমে গিয়েছে। রুদ্রনীলের কথায়, ‘‘আমার তো লড়তে লড়তেই ৬-৭ বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে!’’ অভিনয়ের মতোই রাজনৈতিক দিক থেকেও তাঁর সঙ্গে ‘দ্বিতীয় পুরুষ’ ছবির ‘খোকা’র কোনও বিরোধ নেই। পরমব্রতর গানে অনির্বাণের অংশ নেওয়াকে তাই সহজ ভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেতা। তাঁর যুক্তি, কিছু আলাপ-আলোচনায় হয়তো ঠিক হয়েছিল গোটা বিষয়। তাই ওই গানে অনির্বাণকে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি এও জানাতে ভুললেন না, কেউ তাঁর ‘বন্ধু’দের দেশছাড়া করার কথা বলেনি। ওঁরা নিজেরাই যেন নিজেদের শোনাচ্ছেন, এই দেশ ছেড়ে তাঁরা কোথাও যাবেন না।

Advertisement

বাকি রইল কাঞ্চন এবং রাজের কথা। পরমব্রতর মতো একেবারে কথা বন্ধ না করলেও বাক্যালাপ কমিয়ে দিয়েছেন রাজ চক্রবর্তীও, দাবি রুদ্রনীলের। বদলে ব্যস্ত বিধায়কের সঙ্গে তাঁর সখ্যের সেতুবন্ধ বন্ধুপত্নী অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। একই ভাবে আড্ডায় উঠে এসেছে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাঞ্চনের কথা। জীবনের সমস্ত জটিলতা সরিয়ে ভাল থাকুন তাঁর বন্ধু, কাঞ্চনের প্রতি রুদ্রনীল এই আন্তরিক শুভকামনাই জানিয়েছেন। স্বীকার করেছেন, কাঞ্চনের মতো ভালমানুষ তিনি খুব কমই দেখেছেন। সব শেষে বিশ্লেষণ করেছেন তাঁর সঙ্গে যিশুর বন্ধুত্বের সমীকরণ, ‘‘আমার বাকি বন্ধুরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। তাঁদের মধ্যে দু’জন বিধায়ক। যিশু রাজনীতির ধারেপাশে নেই। তাই হয়তো ওর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব টিকে গেল।’’ নাম না করেই তাঁর কটাক্ষ, শাসকদল হয়তো ভয় পায় রুদ্রনীলকে। তাই তাঁর তিন বন্ধুকে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। নইলে কখন রুদ্রনীল তাঁর ধারালো যুক্তি-বুদ্ধির জোরে বন্ধুদের মাথা চিবিয়ে খাবেন, কে বলতে পারে?

Advertisement
আরও পড়ুন