কর্মবিরতির মধ্যেই ‘গুপি শুটিং!’ প্রতীকী চিত্র।
কাজে যোগ দেবেন না পরিচালকেরা। রবিবার রাতেই ডিরেক্টর্স গিল্ড জানিয়ে দিয়েছিল, পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়-ফেডারেশন দ্বন্দ্বে সমাধানসূত্র না মেলায় সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকাল তারা কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই টালিগঞ্জের স্টুডিয়োপাড়ায় ছুটির আবহ।
জানা গিয়েছে, বিনোদন দুনিয়ায় যাতে এর প্রভাব না পড়ে, সে জন্য রবিবার সারা দিন শুটিং করে রেখেছেন ছোট পর্দার পরিচালকেরা। তাঁদের লক্ষ্য, ধারাবাহিকের বাড়তি পর্বের শুটিং তুলে রাখা। সূত্রের খবর, এই পদ্ধতিতে কাজ এগিয়ে রাখতে গিয়ে একাধিক ধারাবাহিকের শুটিং সোমবার সকাল পর্যন্তও হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে জি বাংলার ‘মালা বদল’, স্টার জলসার ‘শুভ বিবাহ।’ প্রথম ধারাবাহিকটির শুটিং শুরু হয় রবিবার রাত ৯ টা থেকে। শুটিং চলে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত। একই ভাবে ‘শুভ বিবাহ’ ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হয়েছিল ভি লাইন স্টুডিয়োয় রবিবার রাত ৮টা থেকে। অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের এই ধারাবাহিকের শুটিং চলে সোমবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত।
বহু চেষ্টা করেও এই দু’টি ধারাবাহিকের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁরা ফোন ধরেননি। তবে ফেডারেশনের এক টেকনিশিয়ান সদস্য জানিয়েছেন, নির্দেশ অমান্য করে কাজ হয়েছে।
কেন তিনি বলছেন এ কথা? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সেই সদস্যের কথায় , “রবিবারের আলোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত হয়, রবিবার সারা রাত যাঁরা শুটিং করতে ইচ্ছুক তাঁরা ফেডারেশনকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি লিখে পাঠাবেন। সেই অনুযায়ী যাঁরা মেল পাঠিয়েছেন তাঁরাই কাজের অনুমতি পেয়েছেন এবং কাজ করেছেন। কিন্তু সোমবার সকালে কাজ করার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। যে সমস্ত ধারাবাহিকের শুটিং সকাল পর্যন্ত হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, যে দুটো ধারাবাহিকের নাম উঠে এসেছে তাদের পরিচালকেরা গিল্ডের সদস্য। তাঁরা কী ভাবে নিয়ম ভেঙে কাজ করলেন জানেন না তিনি।
এ দিকে টেকনিশিয়ানরা সোমবার সকালেও পরিচালক রাহুলের সঙ্গে কাজ করবেন না, এই সিদ্ধান্তেই অনড়। বিকেলে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। গিল্ডের ওই সদস্যের আরও দাবি, “রবিবার দিনরাত কাজ করে সোমবার পরিচালক-অভিনেতারা যেন ছুটির মেজাজে। এ দিন সকাল থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক বসেছে। তাঁরা যেন জানেন, এতেই সমস্যার সমাধান মিলবে। এই আচরণ টেকনিশিয়ানরা খুব ভাল চোখে দেখছেন না।” সেই জায়গা থেকে তাঁর মত, আগামী দিনে টেকনিশিয়ানরাও একই ভাবে কর্মবিরতির পথে নামতে পারেন। টেকনিশিয়ানদের এ-ও ভয়, আগামী দিনে শুটিংয়ের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ ঘণ্টা থেকে আগের মতো ২১ ঘণ্টা করার চেষ্টায় রয়েছেন। সেই জন্যই নাকি রাহুলকে এত সমর্থন তাঁদের। কলকাতায় ‘লহু’ সিরিজ়ের শুটিংয়ে রাহুল নাকি ২১ ঘণ্টা সকলকে খাটিয়েছিলেন, জানিয়েছেন ওই গিল্ড সদস্য।