বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ধারাবাহিক ‘বৌমা এক ঘর’?
স্টার জলসার ধারাবাহিকের রুটিনে ব্যাপক রদবদল। ‘গোধূলি আলাপ’ আগামী মাস থেকে দেখানো হবে রাত সাড়ে ১০টায়। অর্থাৎ, সুশান্ত দাসের ধারাবাহিক ‘বৌমা একঘর’-এর জায়গায়। রাজ চক্রবর্তীর ধারাবাহিকের জায়গায় আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘নবাব নন্দিনী’। তা হলে কি মাত্র তিন মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ‘বৌমা এক ঘর’? তেমনই কানাঘুষো টেলিপাড়ায়।
উত্তর খুঁজতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল সুশান্ত দাসের সঙ্গে। তাঁর ফোন বন্ধ। জানা গিয়েছে, বিশেষ কাজে তিনি নাকি মুম্বইয়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি ধারাবাহিকের নায়িকা সুস্মিতা দে-ও। টেলিপাড়া বলছে, ঘটনার আকস্মিকতায় নাকি হতবাক অভিনেত্রী। নায়িকা ভাবতে পারেননি, যে প্রযোজকের ধারাবাহিক তাঁকে অভিনয় দুনিয়ায় এনেছিল, জনপ্রিয়তা দিয়েছিল, তাঁরই অন্য ধারাবাহিক তাঁকে এ ভাবে ধরাশায়ী করবে! সুস্মিতাকে ছোটপর্দার দর্শক চিনেছিলেন প্রযোজকের ‘অপরাজিতা অপু’ দিয়ে।
কিন্তু কেন মাত্র তিন মাসে এই হাল ‘বৌমা এক ঘর’-এর? টেলিপাড়া বলছে, শুরু থেকেই দর্শকদের কটাক্ষের শিকার ‘বৌমা এক ঘর’। চিত্রনাট্যের বাঁধনও জোরালো ছিল না। ‘অপরাজিতা অপু’র মতো প্রায় একই চরিত্রে দেখানো হচ্ছিল সুস্মিতাকে। ফলে, রেটিং চার্টেও ধারাবাহিকটি কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। নেপথ্যে কাজ করেছে সবক’টি বিষয়ই। সব মিলিয়ে তাই ‘বৌমা এক ঘর’-এর আয়ু ঠেকল মাত্র ৯০ দিনে!